'ব্যোমকেশ গোত্র' ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পরিচালক ভেবেছিলেন এই চরিত্রটার জন্য। কিন্তু ছক্কা হাঁকালেন অন্য কেউ। ভয় পান না টাইপকাস্ট হতে। ব্যোমকেশের পাশাপাশি জোর চর্চা সত্যকামকে নিয়েও। তাও সে অর্থে টেনশন হচ্ছে না। সত্যকাম চরিত্রটা নিয়ে কতটা সত্য কথা বললেন অর্জুন চক্রবর্তী?
সত্যকাম চরিত্রটা করার পরের অভিজ্ঞতা কেমন?
ভীষণ ভাল লেগেছে। এই ধরনের চরিত্র আমি আগে কখনও করিনি তাই আমার জন্য এটা বেশ একটা চেঞ্জ।
চরিত্রের অফারটা যখন এল, কী মনে হয়েছিল?
যখন চরিত্রটা অফার করা হয়েছিল আমার তখন গল্পটা পড়া ছিল না। পরে গল্পটা পড়ি আর মনে হতে থাকে, এরকম একটা কঠিন চরিত্রের জন্য যে আমাকে ভাবা হয়েছে, এটা খুব বড় একটা সুযোগ।
অনেক সমালোচনা ও প্রশংসা অপেক্ষা করছে। প্রস্তুত তো?
প্রস্তুত তো নই। কারণ সবসময় মিশ্র প্রতিক্রিয়াটাই আসে। পুরোটা ভাল বা পুরোটা খারাপ, কোনওটাই হয় না। এখনও পর্যন্ত রেসপন্স ভাল। আশা করি ছবিটা দর্শক দেখবেন। তাই জানালেই হলো, ভাল-খারাপ দুরকম প্রতিক্রিয়াকেই স্বাগত।
ফ্লোরে তো দু-দুজন পরিচালক। সুবিধে কতটা হয়েছে?
ছোটখাটো ইম্প্রভাইজেশনে সাহায্য তো করেইছেন। আর উষাপতি ও সত্যকামের যে সিনগুলো ছিল সেগুলো আলাদা করে তৈরি করেছি দুজনে। আর সত্যকাম হয়ে ওঠার পেছনে পরিচালকের অবদান অনেকটা। গল্পটা যেহেতু বদলেছে, তাই মূল গল্পটা জেনে খুব একটা লাভ হত না। তাই পরিচালকের দৃষ্টিকোণটা জরুরি ছিল।
ব্যোমকেশ গোত্র ছবিতে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে অর্জুন।
ব্যোমকেশ না সত্যকাম, কোন চরিত্রটার জন্য ব্যোমকেশ গোত্র দেখবেন দর্শক?
না ব্যোমকেশ তো একটা ব্র্যান্ড। সেখানে সত্যকামকে ঘিরে গল্পটা বলা। আর সব জায়গায় বলছি, ব্যোমকেশ দেখতে হবে অভিনয়ের জন্য। শুভঙ্কর দার (শুভঙ্কর ভড়) সিনেমাটোগ্রাফি বা অরিন্দম দার পরিচালনা শুধু নয়। পরিচালক নিজে বলেছে এটা অরিন্দম দার সেরা ব্যোমকেশ।
সামনেই প্রিমিয়ার, সবাই ছবিটা দেখবে। ভয় করছে ?
সাধারণত প্রিমিয়ারের আগে আমার টেনশন হয় না, কিন্তু এবারে একটু উদ্বিগ্ন লাগছে। এত অন্যরকম চরিত্রটা। তাছাড়া আসল টেনশনের সময়টা পেরিয়ে গেছি, শট দেওয়ার সময়টা। এখন আর কিছু আমাদের হাতে নেই।
সত্যকাম শেষমেষ একটা গ্রে চরিত্র। টাইপকাস্ট হয়ে যান যদি?
তাহলে তো এতদিনে শুধু কমেডি আর রোমান্টিক চরিত্র পাওয়ার কথা। আট বছরে যখন সেটা হয়নি তখন একটা গ্রে ক্যারেক্টার আমায় টাইপকাস্ট করবে না। আর যদি হইও, খুব একটা খারাপ লাগবে না (হেসে) যদিও এই একটাই করলাম এখনও পর্যন্ত। আমার মনে হয় অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ থাকে এই ধরনের চরিত্রগুলোয়। ব্যক্তিগত জীবনে যেটা নই সেটা করতেই বেশি মজা লাগে।