পার্ক স্ট্রিটের বুকের ওপর ট্রিঙ্কাস, যখন পৌঁছলাম ঘড়ির কাঁটা সাড়ে চারটে ছুঁই ছুঁই। হ্যাপি আওয়ার্সের শেষ লগ্ন। তার ওপর ফ্রাইডে নাইট আসন্ন। ভেতরে ঢুকে অন্যদিনের ইভেন্টগুলোর মতো ব্যস্ততা চোখে পড়ল না। ঢিমে আলোয় নিজের রঙেই চেনা ছন্দে ছিল ষাটের দশকের প্রগ্রেসিভ কলকাতা, কার্লটন কিট্টোর বপ জ্যাজ কিংবা সত্তরের ঊষা উত্থুপের দ্বিতীয় এই বাড়ি। সন্ধ্যে নামার পরে রাতের কলকাতার কত স্মৃতিই তো লেখা থাকবে এই জায়গায়। ট্রিঙ্কাস, ব্যান্ড ও লাইভ মিউজিকের সংস্কৃতিকে প্রায় একা হতে তিলোত্তমায় জনপ্রিয় করে তুলল। এটাও তো মেইনস্ট্রিম কলকাতা। আজ কিছু মানুষের সেই নস্ট্যালজিয়া আর এই প্রজন্মকে সেই সময়ের আভাস দিল এদিনের সন্ধ্যা। প্রকাশিত হল পরিচালক অরিন্দম শীলের নতুন ছবি 'ব্যোমকেশ গোত্রের' গান, 'বিষের ধোঁয়ায়' ও 'বালামওয়া'।
Advertisment
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রক্তের দাগ’ সম্ভবত একমাত্র ব্যোমকেশ কাহিনী, যেখানে ব্যোমকেশ ছাড়াও আরও একটি নাম বারবার উঠে আসে, তা হল সত্যকাম। ছবিতে তাঁর মৃত্যু রহস্যের জটই খুলবেন সত্যান্বেষী। শুক্রবার 'বিষের ধোঁয়ায়' গানটির রিলিজের জন্য ট্রিঙ্কাসের চেয়ে ভাল লোকেশন আর হতে পারত না। বিক্রম ঘোষের কম্পোজিশনে উজ্জ্বয়িনীর লাইভ গাওয়াও পাওনা ছিল এদিন। সঙ্গে গলা মেলালেন স্বয়ং ঊষা উত্থুপ। মোহময়ী সন্ধ্যার সাক্ষী থাকলেন সকলে।
দ্বিতীয়বার গানটি আরও জমে উঠল ক্যাবারে শিল্পীর নাচের তালে। বোঝা গেল, এই গান দিয়েই ছবিতে রহস্যকে ঘনীভূত করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। তিনি বললেন, ''বিক্রম আর আমার যুগলবন্দী অনেকদিনের। আমি আর ও একে অপরের জায়গাটা বুঝি। ছবিতে তো এমন অনেক জায়গা ফাঁকা রেখে দিই। টিম জানতে চায়, তখন বলি ওই জায়গাটা ভরাট করার কাজ বিক্রমের।" ক্যাবারে ও গানের তালে পা মেলাতে উঠেছিলেন ঊষা উত্থুপও। রক অ্যান্ড রোলে নিজের ফেলে আসা সময়টায় ফিরে গেলেন গায়িকা।
Advertisment
তবে শুধু 'বিষের ধোঁয়ায়' নয়, আরও একটি গান মুক্তি পেল এদিন - 'বালমওয়া'। গানটি গেয়েছেন পিউ। সা রে গা মা পা-এ প্রতিযোগী ছিলেন তিনি।তবে বিষের ধোঁয়ায় পর্দা আবছা করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার।