দু'টো কলার জন্য় অভিনেতা রাহুল বোসকে ৪৪২ টাকা ৫০ পয়সার বিল ধরিয়েছিল চণ্ডীগড়ের জেডব্লিউ ম্য়ারিয়ট হোটেল। বিল দেখে রাহুলের চোখ কপালে উঠেছিল। তিন দিন আগেই টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন রাহুল। আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসলেন চণ্ডীগড়ের ডেপুটি কমিশনার এবং এক্সাইস অ্যান্ড ট্য়াক্সেশন কমিশনার মণদীপ সিং ব্রার। বুধবার এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দ্য় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ব্রার জানিয়েছেন, "অভিনেতার ভিডিও এবং বিল দেখার পরেই আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। আমি অ্যাসিসটান্ট এক্সাইস অ্যান্ড ট্যাক্সেশন কমিশনার (এইটিসি) রাজীব চৌধুরিকে নির্দেশ দিয়েছি ঘটনার খতিয়ে তদন্ত করতে। কী করে ওই হোটেল টাটকা ফলের ওপর এরকম জিএসটি বসাতে পারে! দোষী প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: দু’টো কলার দাম দেখে চোখ কপালে উঠল রাহুল বোসের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে জেডব্লিউ ম্য়ারিয়ট হোটেলের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকী কমিউনিকেশন ম্য়ানেজারও ফোন ধরেননি। হোটেলের পিএআর সংস্থাও বলে দেয়ে হোটেলের সঙ্গে কথা বলার জন্য়। এইটিসিকে এই নির্দেশও দেওয়া হয় যে, হোটেল কি এক্সাইস অ্যান্ড ট্যাক্সেশন দফতরের সঙ্গে কথা বলেই জিএসটি লাগু করছে কি না!
জিএসটি-র উপর দুটি বই লিখেছেন অজয় যাজ্ঞা। নিউজলাইনকে তিনি বলেছেন, "টাটকা ফল এবং সবজি জিএসটি-র আওতায় প্রদেয় নয়। ফ্রুট প্ল্য়াটারে দু'টো কলার জন্য় এরকম গলাকাটা জিএসটি নেওয়ার বিষয়টা তদন্ত করে দেখতে হবে। এটা কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাকটের অধীনে পড়ে। যদি এটা প্রকৃত ফ্র্টু প্ল্য়াটারও হয়ে থাকে তাহলে হোটেল কর্তৃপক্ষ পাঁচ শতাংশ জিএসটি নিতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ নেওয়া হয়েছে। সেটা ঠিক নয়।"
Read full story in English