শনিবার থেকে শুটিং বন্ধ কলকাতার বেশিরভাগ মেগা সিরিয়ালের। সেদিন থেকে আজ, সোমবার পর্যন্ত শুটিং হয়নি। ভবিষ্যতে এরকম চলতে থাকলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বেশ কিছু সিরিয়াল। কিন্তু কেন এই অচলাবস্থা? অভিযোগ, অনেকদিন ধরে কলাকুশলীদের বকেয়া টাকা না দেওয়াতেই এই বিপত্তি। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সামনে বেশ কয়েকটা জনপ্রিয় সিরিয়ালের পুরোনো পর্ব দেখতে হতে পারে দর্শকদের।
প্রতিদিন কাজ করেও প্রাপ্যের সময়েই যত টালবাহানা। মিলছে না ওভারটাইমও। সেই নিয়েই এবার সরব হলেন সিরিয়ালের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও টেকনিশিয়ানদের প্রাপ্ত টাকা না মেটানোয় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন প্রযোজকরা। এবার কোপ এসে পড়ল শিল্পীদের ওপরে। বিষয়টি নিয়ে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে ১৮ অগাস্ট আলোচনা বসলেও তাতে কোও সুরাহা পাওয়া যায়নি। এদিকে সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় আজ মিটিংয়ে বসতে পারে প্রযোজক সংস্থা ভেঙ্কটেশও। মধ্যস্থতা করতে মাঠে নেমেছেন স্বরূপ বিশ্বাস। আর্টিস্ট ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে আলোচনায় থাকতে পারেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার কথা ১০ ঘন্টা, সেখানে অন্তত ১২-১৪ ঘন্টা করতে কাজ করতে হয় সবাইকে। অভিযোগ, এই অতিরিক্ত সময়ের পয়সা মিলছে না। দিন হিসেবে যাঁর যত টাকা প্রাপ্য, ওভারটাইম হলে সেই হিসাবেই অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন প্রযোজকরা। তবে বাস্তবে তা রূপায়িত হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে স্বরূপবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "সমস্ত সমস্যা মিটে কাজটা সুষ্ঠুভাবে চলুক এটাই কাম্য। সেই আশাও রাখছি। সোমবার বিকেলে আলোচনা রয়েছে, একটা কিছু সমাধান নিশ্চয়ই বেরোবে।"
আরও পড়ুন, বইয়ে মিলখার জায়গায় কার ছবি ?
অনেকদিন ধরেই মেগাতে কাজ করছেন অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। তিনি এদিন বলেন, "প্রত্যেকের নিজের নিজের জীবন রয়েছে। সেই সময়টা আমরা কাজের স্বার্থে শুটিংয়ে দিই। কিন্তু তার প্রাপ্য টাকাটা পাওয়া যায় না। সব প্রফেশনের মতো এখানে নির্দিষ্ট সময় আছে। তবে মানা হয় না। কিছু প্রযোজনা সংস্থা টাকা দেয়, তবে প্রত্যেকে নয়।"
আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কোন কথা তিনি বলতে পারবেন না। মুখ খুলতে চাননি বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীও। তবে শুটিং বন্ধ ভারতলক্ষী, এন টি-ওয়ান, ইন্দ্রপুরীর মতো স্টুডিওতে।