Naihati Boroma: বড়মা মানেই আবেগ। বড়মা মানেই এমন এক শক্তি, যা সকলকে বেঁধে রাখতে পারে। বড়মা না টানলে কেউ তাঁর কাছে যেতে পারে না। কিন্তু, গতকাল বড়মার দরবারে হাজির হয়েছিলেন খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, দর্শনা বণিক এবং আরও অনেকেই। বড়মার কাছে তাঁরা গিয়েছিলেন দেবী চৌধুরানী ছবির কারণে পুজো দিতে। এবং, তাঁদেরকে দেখতে হাজির হয়েছিলেন, নৈহাটির অনেক মানুষ।
গতকাল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর নৈহাটির বাড়িতে গিয়েছিলেন তারা। সেখান থেকেই বড়মার কাছে হাজির হন। এবং, মন্দিরে ঢোকার আগেই মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সকলের প্রিয় বুম্বা। তাঁর চোখে তখন অঢেল বিশ্বাস। মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকলেন বেশ অনেকক্ষণ। বড়মার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে প্রণাম সারলেন। আর চারদিকে তখন ক্যামেরার খেলা। অভিনেতারা সকলে এগিয়ে গেলেন মায়ের মূর্তির সামনে। তখন চারপাশে কোনো ব্যারিকেড নেই। এবং সেই দৃশ্য দেখেই সমাজ মাধ্যমে চোখ কপালে।
সাধারণ মানুষের জন্য যেখানে এত নিয়ম, সামনে মানুষকে যেতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না, সেখানে তাঁদের জন্য কোনও বাঁধা নেই। তাঁরা একদম সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন। কেউ কেউ তো রেগে আগুন। তাঁরা সোজা বললেন, মানুষের জন্য যত নিয়ম, তাঁদেরকে নিয়ে যত ভয়, আর এই বেলায় কিছুই নয়? আবার কেউ কেউ তো একারণেও রেগে গেলেন যে মন্দিরে নাকি ক্যামেরা ফোন বন্ধ করে রাখতে হয়। অভিনেত্রীদের সকলেই পড়েছিলেন শাড়ি। শ্রাবন্তিকে দেখা গেল মাথায় ঘোমটা দিয়ে মন্দিরে ঢুকতে। তবে, সমাজ মাধ্যমে বিরাট আলোচনা।
"মন্দিরে নাকি ক্যামেরার অনুমতি নেই তাহলে অই গুলো কি খেলনা?" আবার কেউ বললেন,"এখন সব ফ্রি। এই বেলায় কোনও লাইন নেই।" আবার কেউ অভিযোগ করেই বললেন, "বাহ! সেলিব্রিটি আর মানুষ আলাদা, এটা খুব অদ্ভুত।"