New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/12/XSjIbbZUfs3SWKq2jhSh.jpg)
কেমন কাটত মানসীর পৌষ পার্বণ? Photograph: ( ফাইল)
কেমন কাটত মানসীর পৌষ পার্বণ? Photograph: ( ফাইল)
Manasi Sinha-Poush Parban: আসন্ন পৌষ পার্বণ। বাংলার মানুষদের কাছে পৌষ পার্বণ মানেই কিন্তু আলাদা উন্মাদনা। একদিকে যেমন গঙ্গাসাগর স্নান, ঠিক তেমনই পিঠে পুলির পাহাড়। বিশেষ করে যারা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, এবং পিঠে পায়েস যাদের প্রিয়, তাঁরা কিন্তু অপেক্ষা করে বসে থাকেন কবে এই বিশেষ সময়টা আসবে।
তারকারা কিন্তু আর পাঁচজন মানুষের মতোই বেশ অপেক্ষারত এই অনুষ্ঠানের। বাঙালির আর যাই হোক, খাবার দাবারের প্রতি কোনও অনিহা নেই। শুধু তাই নয়, যেকোনও অনুষ্ঠানে সে পুজো পার্বণ হোক কিংবা রীতি নিয়ম খাওয়া দাওয়া ছাড়া বাঙালির উৎসব জমে না। পৌষ পার্বণ ঠিক তাই। পিঠে পুলি ছাড়া মানুষের শীতকাল জমে না। তারকাদের কাছে তাঁদের ছেলেবেলা কিংবা পৌষ পার্বণের মজা কেমন ছিল? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন করা হয়েছিল মানসী সিনহাকে।
পরিচালক এবং অভিনেত্রী, নিজের ছবি স্বপ্নময় লেন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, তিনি হাসিমুখেই ফিরে গেলেন পুরোনো সেসব পিঠে পুলির দিনগুলোতে। অভিনেত্রীর মা, নিজেও একজন ডাকসাইটে অভিনেত্রী ছিলেন। থিয়েটারের বাড়িতেই বড় হয়েছেন তিনি। কিন্তু, ছোটবেলায় মায়ের হাতের পিঠের কথা একেবারেই ভোলেননি। পিঠের স্মৃতি মনে করেই যেন একগাল হাসি খেলে গেল তাঁর মুখে। কী বললেন মানসী? তাঁর কথায়...
"আমার পিঠের গল্প বলতে যে কী ভাল লাগে। এসব অভিজ্ঞতা আমাদের দারুণ। আমার বাড়িতে মা, দু তিনটে পিঠে বানাতে পারত। মা পাটিসাপটা, মালপোয়া আর ভাপা পিঠে যেটা গুর দিয়ে খাওয়া হয় সেটা দারুণ বানাতো। কিন্তু, ওই ভিন্ন ধরনের পুর ভরে পিঠে মা কোনোদিন ভাল বানাতে পারতেন না। বরং, সেই পুর বাইরে বেরিয়ে আসত। কিন্তু, পাটিসাপটা মা এত ভাল বানাতো, যে ওটা প্লেটে পড়ার আগে হাপিস হয়ে যেত। মানে আমি চুরি করতাম। দায়িত্ব নিয়ে চুরি করতাম। ওই যে কেস্ট ঠাকুর যেমন বন্ধুদের ডেকে চুরি করে ননী খাওয়াতেন, আমি সেরকম বন্ধুদের ডেকে এনে গোপন জায়গা থেকে পাটিসাপটা বের করে ডেকে খাওয়াতাম।"
পাটিসাপটা চুরি করা নেহাতই ফুড লাভারদের জন্য সাধারণ ঘটনা। মানসী সোজা সাপটা জানিয়ে দিলেন, "আমার ইচ্ছে হত যে বন্ধুদের খাওয়াবো, বলব যে মা কত ভাল করতে পারেন এসব। কিন্তু, এগুলো ভাবতাম না যে মায়ের হয়তো মনে হতো যে সীমিত ক্ষমতা দিয়ে মেয়ের জন্য বানিয়েছেন। তাঁকে না খাওয়াতে পারলে মানসিক শান্তি হবে না। কিন্তু, আমি পিঠে বানানো শিখেছি বিয়ের পর এসে।" কার থেকে কী কী বানানো শিখলেন তিনি?
শশুরবাড়ি এসে রান্নার হাত খোলতাই হয় মেয়েদের, মানসী সিনহার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম না। অভিনেত্রী বললেন, "আমি শাশুরি মায়ের কাছে শিখেছি রসবড়া বানানো। তারপর আমার ছোট শাশুরি মায়ের কাছে শিখেছি, গোকুল পিঠে বানানো, লবঙ্গলতিকা বানানো শিখেছি। আর, আমাদের এই জেনারেশনে আমার নন্দাই, দারুণ বানান এসব। অসাধারণ বানাতে পারে পিঠে। শুধু তাই নয়, আমাদের থিয়েটারের একজন লাইটম্যান, তাপস, ও নিজের ব্যবসা শুরু করেছে। ও দারুণ বানাচ্ছে। কাজেই আমি এখন ভাবছি, কোনটা কবে অর্ডার করব। আমি পিঠেময় এখন। সারাদিন পিঠের মধ্যে ডুবে আছি। পিঠের অভাব হচ্ছে না।"