/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024-09-09t054139041z-fb.jpg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/16/dev6dYCBsvDXkCEdfg60.jpg)
বান্দ্রায় বসবাসকারী তারকাদের কি নিরাপত্তা কমছে? Photograph: (ফাইল চিত্র )
না, একেবারেই সুরক্ষিত নয় বান্দ্রা? মুম্বাইয়ের এই বড়লোক এরিয়ায় শেষ কিছু মাস যা ঘটে চলেছে তাতে করে মুম্বাই যে এখন আর তারকাদের জন্য সুরক্ষিত না, সেকথা না বললেই নয়। কারণ? বহুদিন ধরে সলমন খান যে হুমকির সম্মুখীন হয়ে আসছেন সেটি অনেকেই জানেন। শুধু তাই নয়, বহুবার নানা বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
ভাইজানের বাড়ির বাইরে, বহুবার গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে অনেক চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। যেখানে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বহুবার তাঁর বাবা সেলিম খানও এসবের সম্মুখীন হয়েছেন। যদিও, তাঁরা প্রথম দিকে বিষয়টা পাত্তা না দিলেও পরে যখন সকাল সকাল তাঁর বাড়ির বারান্দায় গুলি চালানো হল, সতর্কতা বেড়েছে। সলমন কিন্তু একা নন। বরং তাঁর ঘনিষ্ঠদের যে তাঁর কারণে বিপদ হয়নি এমনটা কিন্তু না।
দ্বিতীয় যে ঘটনা ভাইজানকে এবং বলিউডকে নাড়িয়ে রেখে দিয়েছিল সেটা হল, বাবা সিদ্দিকীর মৃত্যু। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় তিনিও থাকতেন। একদিন হঠাৎ করেই রাতের বেলা তাঁর গাড়িতে গুলি চালানো হয়, আর তারপরেই জানা যায় তিনি প্রয়াত। বলিউডের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে যখন পার্টি দিতেন, শাহরুখ থেকে সলমন কেউ সেখানে বাদ যেতেন না। ভাইজানের বেশ কাছের ছিলেন তিনি। জানা যায়, তাঁকে বাঁচিয়ে ছিলেন নানা মামলায়, সেকারণেই কি রোষানলে পড়েন? তাঁর মৃত্যুতেও একবার আলোচনা ওঠে সুরক্ষা নিয়ে।
আর এবার সইফ আলি খান। বান্দ্রা এলাকায় তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হয়। নিজের পরিবারকে বাঁচাতে তিনি প্রায় অনেকবার ছুরির আঘাতের মুখে পড়েন। লাগাতার ৬ বার তাঁকে কোপ মারা হয়। তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে নিউরোসার্জারি এবং কসমেটিক সার্জারী হয় তাঁর। যদিও এখন তিনি সুস্থ আছেন। জানা নিয়েছে, দুটি আঘাত বেশ গভীর। তাঁর টিমের তরফে জানানো হয়েছে, অপারেশন শেষ হয়েছে। এখন বিপদমুক্ত তিনি।
একথা, অজানা নয় অনেক তারকাই, সেই এলাকায় থাকেন। তাঁর মধ্যে শাহরুখ খান থেকে অনিল কাপুর, এমনকি রণবীর কাপুর আলিয়া ভাট, আমির খান পর্যন্ত রয়েছেন। তাহলে তাঁদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন থেকেই যায়। উল্লেখ্য, বেলা গড়াতেই একে একে তাঁর পরিবারের সকলে পৌঁছেছেন। কবে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় সেটাই দেখার।