Bollywood: একাধিক বিতর্কে জেরবার, বহু অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রীরা, সেই অভিনেতা নাকি মেয়েদের সুরক্ষা দিতেন?

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সমুদ্রতীরের একটি ভিলায় ছিল তাঁর প্রথম শুটিং। সেই বিখ্যাত লিভিং রুম দৃশ্যেই কাজ শুরু হয়। অনিল কাপুরের সঙ্গে প্রথম দৃশ্যে কিছুটা নার্ভাস হলেও...

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সমুদ্রতীরের একটি ভিলায় ছিল তাঁর প্রথম শুটিং। সেই বিখ্যাত লিভিং রুম দৃশ্যেই কাজ শুরু হয়। অনিল কাপুরের সঙ্গে প্রথম দৃশ্যে কিছুটা নার্ভাস হলেও...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
salman1

যা বললেন অভিনেত্রী তাঁকে নিয়ে...

সলমন খান, অনিল কাপুর, ফারদিন খান, বিপাশা বসু ও সেলিনা জেটলি অভিনীত কাল্ট কমেডি নো এন্ট্রি মুক্তির দুই দশক পূর্ণ করেছে। এখনও এই ছবির ভক্তদের উন্মাদনা অটুট। সম্প্রতি স্ক্রিন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জনা সাক্সেনার চরিত্রে অভিনয় করা সেলিনা তাঁর অভিজ্ঞতা, সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ও সিক্যুয়েল নিয়ে নানা কথা শেয়ার করেছেন।

ববির চরিত্র ফিরিয়ে দিয়ে সঞ্জনাকে বেছে নেওয়া

Advertisment

সেলিনা প্রথমে বিপাশা বসুর ববির চরিত্রের অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু সঞ্জনার ভূমিকায় তিনি বেশি সংযোগ অনুভব করেন। তাঁর মতে, “সঞ্জনার চরিত্রের যে কমেডি, সেটা আসে চরিত্রের সততা থেকে, বাড়াবাড়ি কিছু দেখানো হয়নি। তাই এটি আমার কাছে বেশি শৈল্পিক মনে হয়েছিল।”

সেটের প্রথম দিন ও অনিল কাপুরের সঙ্গে... 

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সমুদ্রতীরের একটি ভিলায় ছিল তাঁর প্রথম শুটিং। সেই বিখ্যাত লিভিং রুম দৃশ্যেই কাজ শুরু হয়। অনিল কাপুরের সঙ্গে প্রথম দৃশ্যে কিছুটা নার্ভাস হলেও, অভিনেতার আন্তরিকতা ও মজার ব্যবহার সব অস্বস্তি দূর করে দেয়।

সালমান, অনিল, বিপাশা ও অন্যদের সঙ্গে রসায়ন

Advertisment

নবাগত হিসেবে সেলিনার কাছে সলমন খান ছিলেন আলাদা শক্তি, ব্যস্ততার মাঝেও সবার খেয়াল রাখতেন। মেয়েদের নাকি তিনিও সুরক্ষা প্রদান করতেন। অনিল কাপুর তাঁর প্রাণশক্তি ও পেশাদারিত্ব দিয়ে পুরো টিমকে অনুপ্রাণিত করতেন। বিপাশার সঙ্গে তাঁর পুরনো পরিচয় ছিল মডেলিংয়ের সময় থেকে। লারা দত্ত ও এশা দেওলের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বও তৈরি হয়েছিল, মরিশাসে সন্ধ্যাগুলো কাটত পাজামা পার্টিতে। সেলিনা বলেন, “সালমান ছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক শক্তির উৎস। তিনি তখন ভীষণ ব্যস্ত। মরিশাসে একসঙ্গে ‘নো এন্ট্রি’ এবং আরও দুটি ছবির কাজ করছিলেন। তবুও সবসময় প্রাণবন্ত থাকতেন, মজার ছলে কথা বলতেন এবং বিশেষ করে আমাদের মেয়েদের প্রতি খুব সুরক্ষামূলক আচরণ করতেন, যা সত্যিই স্বস্তি দিত। অনিলজি ছিলেন উৎসাহ আর উদারতার প্রতীক। তাঁর অসীম এনার্জি পুরো সেটকে প্রাণবন্ত করে রাখত। পেশাদারিত্বের যে মান তিনি দেখিয়েছেন, তা কাছ থেকে দেখা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ফারদিনের সঙ্গে আগের ছবিগুলোতে কাজ করায় আমাদের মধ্যে আগে থেকেই স্বাচ্ছন্দ্য ছিল, ফলে একসঙ্গে কাজ করাটা আরও সহজ হয়েছিল।"

৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “মেয়েদের সঙ্গে আমার মধ্যে সবসময়ই স্বাভাবিক সৌহার্দ্য ছিল। কলকাতায় মডেলিং করার সময়, মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমি বিপাশাকে চিনেছিলাম। একবার যখন তরুণ মডেল হিসেবে নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলাম, তখন বিপাশাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল। ‘নো এন্ট্রি’তে তার সঙ্গে পুনর্মিলন ছিল একেবারে পূর্ণ বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়ার মতো। আমরা প্রায়ই বাংলায় আড্ডা দিতাম। লারা দত্তের সঙ্গে বন্ধন তৈরি হয়েছিল সহকর্মী ফৌজি কন্যা ও মিস ইউনিভার্স বোন হিসেবে, আর সেই বন্ধন আজও অটুট। এশা, লারা আর আমি বিশেষভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। মরিশাসে আমাদের সন্ধ্যাগুলো প্রায়ই শেষ হতো ভিলায় মেয়েদের জন্য লম্বা পাজামা পার্টির মাধ্যমে।”

ক্লান্তিকর হলেও মজার শুটিং অভিজ্ঞতা

ফারদিন খানের সঙ্গে শিং নিয়ে দৌড়ানোর দৃশ্যটি দেখতে যতটা সহজ, করতে ততটাই কষ্টকর ছিল। চার দেশে দুই বছর ধরে শুটিং হয়েছে, ছোট স্কার্ট আর হাই হিল পরে কিলোমিটার দৌড়াতে হয়েছে, ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হয়েছে।

সিক্যুয়েলে মূল তারকা কাস্টের দাবি

সেলিনা মনে করেন, নো এন্ট্রি ২–তে মূল তারকা কাস্ট ছাড়া ন্যায়বিচার হবে না। “আমরা সবাই মিলে যে রসায়ন তৈরি করেছিলাম সেটাই ছিল ছবির প্রাণ। দর্শকরা চরিত্রগুলির প্রাকৃতিক অগ্রগতি দেখতে ভালোবাসবে। আমাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনলে সিক্যুয়েল আরও সফল হবে,” বলেন তিনি।

bollywood actress Bollywood Actor bollywood