চঞ্চল চৌধুরী, এতদিন যে মানুষটা বাংলাদেশের সকলের মনের খুব কাছের ছিলেন সেই মানুষটা আজ নিজের মন্তব্যের জেরে পদ্মাপাড়ে বয়কটের মুখে। বাংলাদেশের বেশ কিছু মানুষ তাঁকে বয়কট করতে উঠে পরে লেগেছেন। আবার কেউ কেউ তাঁদের প্রিয় চঞ্চল ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে।
Advertisment
ভারতের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে পরাজয়, আর তারপর থেকেই ওই বাংলায় উচ্ছাস, উন্মাদনা! পড়শিদের কর্মকাণ্ডে রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া এদেশের মানুষের। উঠছে নানা প্রসঙ্গ। সেদেশের মানুষের ভারতে নিত্য আসা যাওয়া, ভারতের তরফে হাজারো সাহায্য নিয়েও নানা উদাহরণ দিয়েছেন মানুষ। তবে, এরই মাঝে দুই বাংলার বিখ্যাত শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী বলে বসেন, বাংলাদেশের বুকে অনেক ভারত বিদ্বেষী রয়েছেন। খেলাধূলার বিষয়টা আর এক নেই, সেটাকেও হিংসার পর্যায়ে নিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, যেটা ঠিক নয়।
অভিনেতার এই বক্তব্যের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোড়ন। অভিনেতাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন বেশিরভাগ। নিজের দেশেই বিরাট অশান্তির জেরে তিনি। এদিকে, একদল আবার অভিনেতাকে সঙ্গ দিয়েছেন। তাঁদের কথায়, ভারতের সঙ্গে আমাদের মিত্র সম্পর্ক বজায় রাখা খুব জরুরি। কিন্তু এই যে বয়কট, সেটি নিয়ে কী বক্তব্য চঞ্চল চৌধুরীর?
অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জানান..."এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা ফাঁদ। আমার বলা মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়ে আর কিছু বলতে রাজি না।" অভিনেতা বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে এপারেও কামাল করেছেন। তাঁর ছবি পদাতিক রিলিজের অপেক্ষায়। এবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের তরফে।
উল্লেখ্য, চঞ্চল বলেছিলেন, খেলায় হার জিত থাকলেও হিংসা প্রকাশ্যে আসা উচিত না। এমন দৃশ্য খুব ভয়ঙ্কর। রাজনীতি হোক বা খেলা বাংলাদেশের বুকে ভারতকে অপমান করার মাত্রা কম নেই। ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে, অনেকে পাকিস্তানকেও সমর্থন করে। এমন নয় যে, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিদ্বেষী। অনেকে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য মনে রেখেছে। তবে এই কথা শুনেই তাঁকে ভারতের দালাল, ভারত প্রেমে কাতর এমন কথাও বলা হয়েছে।