সারা বাংলা তথা দেশজুড়ে যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে চূড়ান্ত হইচই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়াশোনা ব্যতীত আর কী কী হয়, এই নিয়েই আলোচনা। প্রশ্ন আছে অনেক। সিসিটিভি নেই কেন? ক্যাম্পাসে বসে অবাধে নেশার সেবন কেন? বহিরাগতদের আনাগোনা কেন? কিন্তু, গতকাল চন্দ্রযান ৩ এর সফল অবতরণের পর থেকেই অন্য সুর।
এ যেন গোটা দেশের সফলতা। ইসরোর দৌলতে গোটা ভারত আজ চাঁদে। আর সেই ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানীদের মধ্যে বঙ্গ তনয়দের ভূমিকা ছিল দুর্ধর্ষ। আর সকলের মত, তাঁরাও অপেক্ষায় ছিলেন ইতিহাস সৃষ্টি করার। বলা বাহুল্য, তাদের মধ্যে তিনজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি। ফলেই যেন আরেক উন্মাদনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে। দেশের সফল অভিযানে সঙ্গে ছিলেন যাদবপুরের তিন কৃতি। একসময় পড়ুয়াদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে যাদবপুরে কেবল নেশা হয়? পড়াশোনা হয় না? আওয়াজ তুলেছিলেন অভিনেত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী উষশী চক্রবর্তী নিজেও। আজ তাঁর ঠিক কী প্রতিক্রিয়া?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই অভিনেত্রী বলেন, "যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা খুব দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের নাকের নীচ দিয়ে এঘটনা কীভাবে ঘটে আমি জানি না। তাই বলে, সবাই যে যুক্তি খাড়া করছে, যেমন যাদবপুর মানেই অন্ধকার। এখানে কোনও পড়াশোনা হয় না। এটা কিন্তু ভুল। যাদবপুরের উদ্দেশ্য অনেক আলাদা। আমি খুব গর্বিত যে আমি এই ক্যাম্পাসের প্রাক্তনী। দুটো দিকই আছে। তাই বলে, সাফল্যের পালক রয়েছে বলে আমরা যে র্যাগিং ছোট করে দেখব এটা নয়। এর কৃতিত্বও দেখতে হবে। আবার, যাদবপুরের কিছু ছাত্র বা পড়ুয়া কৃতি বলে তাদের আড়ালে যে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে সেটাও কিন্তু না।"
অভিনেত্রী সাফ জানালেন চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে তিনজন যাদবপুরের প্রাক্তনী আছে বলেই, মর্মান্তিক ঘটে যাওয়া ঘটনাটি একেবারেই ভুলে যাওয়ার মত না। যাদবপুর দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু, শেষ কিছুদিনের ভয়ঙ্কর সব বক্তব্য! কটাক্ষ! তথা পড়ুয়াদের অন্ধকারের সদস্য বলে ইঙ্গিত, দেশের সাফল্যে যে যাদবপুরের পড়ুয়াদের কৃতিত্ব, তাতে পাশা উল্টে গেল কী? উষশী জানালেন...
"দুটোই সত্যি! পাশা উল্টে গেল কিনা আমার জানা নেই। তবে, দুটো ঘটনাকে আড়াল করার জায়গা নেই। মারাত্মক এক অপরাধ ঘটেছে। আর যেটা ঘটেছে সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমি তো প্রাক্তনী হিসেবে খুব লজ্জিত।"