অভিনয় পেশার সঙ্গে একবার জড়িয়ে গেলে, সহজে পেছনে ফিরে তাকানো সম্ভব না। আর যখন সে অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে, তখন তো বাড়িতেই গোটা ইন্ডাস্ট্রি। আসতেন, নামকরা সব অভিনেতারা। পরিচালক থেকে প্রযোজক সকলেই আসতেন বাড়িতে।
কিন্তু, অভিনয় করার বিন্দুমাত্র কোনওরকম ইচ্ছে ছিল না চুমকি চৌধুরীর। বাবার পরিচালনায় কেন, কারওর সঙ্গেই অন্তত সিনেমা করবেন এহেন স্বপ্ন ছিল না। কিন্তু করার ছিল না কিছুই। বাবা জোর করেই নিজের সিনেমার হিরোইন বানিয়েছিলেন। তবে, শর্ত ছিল অনেক। অঞ্জন চৌধুরীর মেয়ে বলে কথা, অন্য কোনও প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে কাজ নয়। একবার কাজ করেছিলেন, অন্য পরিচালকের সঙ্গে। তাকেও বারবার ফোন করে মেয়ের খোঁজ নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু, অভিনেত্রী হওয়ার বিন্দুমাত্র কোনও ইচ্ছে ছিল না তাঁর। সুখে সংসার করতে চেয়েছিলেন। বরের পয়সায় খেতে ঘুরতে চেয়েছিলেন। একদম আদ্যোপান্ত সুখী মানুষ হওয়ার ইচ্ছে ছিল তাঁর। বাবার অনুরোধে, তাঁর পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে পর্যন্ত করেছিলেন। চুমকি চৌধুরীর নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুপার ডুপার হিট। গোল্ডেন জুবিলি হিট যাকে বলা যায়। একের পর এক বাংলা ছবিতে কাজ। জুটি বেঁধেছেন প্রসেনজিৎ থেকে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় অনেকেই সঙ্গেই।
আরও পড়ুন - ব্যোমকেশে ডাহা ফেল! বয়স্ক-যুবক সিম্প্যাথি, একই ধাঁচের সিনেমা বানাচ্ছেন দেব? বিস্ফোরক রুদ্রনীল
দীর্ঘদিন, দূরে ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির থেকে। কিন্তু তারপর, বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে তাঁকে দেখা গিয়েছে। বাবার হাত ধরেই যা কাজ করেছেন তিনি। একের পর এক ছবি করছেন, তাঁর কাছে ভাল ছবির সুযোগ আসেনি? নাকি বাবার মুখ চেয়ে করতে পারেননি? চুমকি বলেছিলেন, "আমার জন্য ভালবাসা ভালবাসার সময় তরুণ জেঠু অফার নিয়ে এসেছিল। আর মিলন তিথির সময় সুখেন জেঠূ এসেছিলেন, কিন্তু বাবা করতে দেয়নি।"
সুযোগ হাতছাড়া করেও একবিন্দু আক্ষেপ ছিল না তাঁর। স্বামীর পয়সায় খাবেন, ঘুরবেন এসবই প্ল্যান করে রেখেছিলেন। এমনকি মেয়েকে পাবন্দী লাগানোয় স্ত্রীর কাছে এও শুনতে হয়েছিল, "যে তোমার মেয়েকে কেউ নেবে না" । যদিও, তারপরে অনেক বছর কেটে গিয়েছে। আজও বহাল তবিয়তে কাজ করে চলেছেন তিনি।