বলিউডের কিছু অভিনেতাদের জীবন খুব রঙিন হয়, আবার কেউ কেউ এমন কিছু পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান, যা তারা সারাজীবন মনে রাখেন। এমনকি, এও দেখা যায় তাঁদের সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটে, যেটি তাঁদের জীবন বদলে দেয়। অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডের জীবনে ঠিক এমনিই ঘটেছে। তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছিল...
চাঙ্কি, নিজেও নিজের স্বভাব এবং কিপটেমীর জন্য দারুন পরিচিত। এক পয়সাও কাউকে দেন না, এমনটাই শোনা যায় তাঁর সম্পর্কে। আর এবার, তো তিনি জানালেন, পয়সার জন্য শ্রাদ্ধ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়েই যা অনুভূতি হয়েছিল তাঁর, কপিল শর্মার শোয়ে এসে সেটাই জানিয়েছেন তিনি। শেষ পর্বে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দা, শক্তি কাপুর এবং চাঙ্কী।
সেখানে এসেই চাঙ্কি জানান, কেরিয়ারের শুরুর দিকে পয়সার জন্য তিনি অনেককিছু করতেন। উপড়ি রোজগারের জন্য, কত কান্ড যে করতেন তাঁর ইয়োত্তআ নেই। তাই তো, একদম প্রথম দিকে যখন শুরু করেছিলেন, যেখানেই ডাক পেতেন সেখানেই ছুটে যেতেন তিনি। দুটো পয়সা রোজগার করবেন বলে, একবার নাকি শ্রাদ্ধ বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন। অভিনেতা বলেন...
"শুরুর দিকে আমি যখন অভিনেতা হিসেবে শুরু করি, এক্সট্রা উপার্জনের জন্য আমি মুণ্ডন, বা জন্মদিন বা বিয়ে সর্বত্র যেতে শুরু করি। তো, সেরকমভাবে আমার কাছে একটা ফোন আসে। একজন অর্গানাইজার বলে, আপনি আজ ব্যস্ত? আমি জানাই যে না, আজ শুটিং আছে এই বেরোচ্ছি। তিনি আমায় বলেন, যে যাওয়ার পথে দশ মিনিটের কাজ আছে একটু আসবেন। ভাল পয়সা দেবে। শুধু সাদা রঙের জামা পরে আসবেন। তো আমি আর জিজ্ঞেস করি নি।"
এবারই হয় আসল কান্ড। চাঙ্কি জানান, যেখানে তাঁকে আসতে বলা হয়েছিল সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন যে, কিছু মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। এবং অভিনেতাকে দেখে গুপচুপ শুরু করেছেন। তাঁরা তো অবাক চাঙ্কিকে সামনে দেখে। অভিনেতা বলেন, "আমি সেখানে গিয়ে মৃতদেহ টা দেখতে পাই। হঠাৎ করে তো ভেবেছিলাম, সেই অর্গানাইজার হয়তো মারা গিয়েছেন। কিন্তু দেখলাম সে কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি তো তাঁকে দেখে অবাক। সে আমায় দেখে এগিয়ে এসে বলছে, আপনি এসেছেন? আপনার প্যাকেট আমার পকেটে। আমি বললাম কীসের প্যাকেট? উনি বললেন, এই যে টাকার। আর মৃতের পরিবারের লোকেরা বলেছেন যে আপনি যদি কাঁদেন, তাহলে টাকা আরও বেশি দেবে।"
উল্লেখ্য, লোকের বাড়ি গিয়ে গিয়ে যারা কাঁদেন তাঁদের পেশাগতভাবে রুদালি বলে সম্বোধন করা হয়। এই নিয়ে ছবিও হয়েছে, বলিউডে। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, ডিম্পল কাপাডিয়া।