থিয়েটারে নারী নির্যাতন, মিটু বিতর্কে ফের একবার সরব চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রী বাংলা চলচ্চিত্রে নানা হয়রানির ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। ছোটবেলা থেকেই নাকি অভিনেত্রী হেনস্থার শিকার। এতবছর পর, তিনি এই নিয়ে কথা বললেন...
Advertisment
কিছুদিন ধরেই অভিনেত্রী বেনি বসু এই নিয়ে আলোড়ন তুলেছেন। থিয়েটারে গিয়ে চলেছে যৌণ হেনস্থা। বারবার আঘাত করা হচ্ছে সকলকে। ফলেই, দামিনী বসু নিজের আওয়াজ জোরালো করেছেন। আর এবার, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর সঙ্গে যা ঘটে গিয়েছে তারপর নিজেকে শক্ত করে ধরেছেন তিনি। আর এবার সেই নিয়েই জানালেন আসল কথা...
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন সেসব দিনের ক্ষত সৃষ্টি করা ঘটনার। অভিনেত্রী ফেসবুকের পাতায় ঠিক কী লিখলেন...?
"আজ একটা ঘটনা খুব মনে পড়ছে। যাতে লেখা ছিল আমি হয়তো তরুণ ছিলাম, কিন্তু ভুলে যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে এই কান্না আমার মধ্যে জমে আছে। শিশু নির্যাতনের শিকার আমি। কিন্তু নীরব থেকেছি ছোট থেকে। বেড়ে ওঠার বছরগুলোতে আমি অনেককিছু বলতে পারিনি। সেই অপরাধী স্বাভাবিকভাবেই শাস্তি পায়নি। কিন্তু আমি আজ বিশ্বাস করলাম, কর্মের ফল সে পাবেই। আমি এখনও তাঁর তরফ থেকে ক্ষমা চাওয়ার অপেক্ষা করছি। আমায় যে ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সেটা ভয়ঙ্কর।"
"আমি তাঁর নাম নিতে পারব না। ১২ বছর বয়সী এক মেয়েকে সে কিভাবে এভাবে ব্যবহার করতে পারল আমি জানি না।" অভিনেত্রী আরও যোগ করলেন, "আমার মনে আছে, খুব বিভ্রান্ত ছিলাম। যখন পারতাম না আর সহ্য করতে, ঘর থেকে পালিয়ে যেতাম। গলা শুকিয়ে আসতো। একটা ভারী মন নিয়ে এদিক ওদিক যেতাম। কিন্তু, সহজ চাওয়ার মত কেউ ছিল না। ভয়ে কাঁপতাম। কারণ, ওটুকু বয়সে নিষ্পাপ ছিলাম।"
"মেয়েরা শুধু থিয়েটারে না, বরং সমাজেও নিরাপদ না। সেই কারণেই অভিনেত্রী আরও গর্জে উঠেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, "শুধু থিয়েটারে মেয়েরা নিরাপদ নয় এমনটা না। বরং, সমাজে, প্রতিটা ঘরে, অনেক জায়গাই নিরাপদ না। পারলে সকলের সঙ্গে শেয়ার করুন এই গল্প। কাউকে এই ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচান। আজ মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি।"