অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত যৌন হেনস্থার যে অভিযোগ করেছেন, সেটির পূর্ণমূল্যায়ন করতে রাজি সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন বা CINTAA। তনুশ্রী চান, তাড়াতাড়ি ন্যায্য তদন্ত করা হোক অভিনেতার বিরুদ্ধে। ২০০৮-এ যখন বিষয়টি প্রথম সামনে আসে, তখন তাকে কোনও গুরুত্ব দেয় নি CINTAA। তনুশ্রী প্রায় একযুগ আগে তাঁর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন CINTAA-র কাছে। ২০০৯ সালে নানা পাটেকরের হাতে 'হর্ণ ওকে প্লিজ' ছবির সেটে হেনস্থা হয়েছিলেন তিনি, এমনটাই দাবী করেছিলেন অভিনেত্রী।
আজ CINTAAর যুগ্ম সম্পাদক অমিত বহেল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, "যদি তিনি চান আমরা বিষয়টার তদন্ত করি, তাহলে সবরকম সাহায্য করতে রাজি আমরা। একথা ওঁকে বলাও হয়েছে। কিন্তু এখনও তিনি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে আসেন নি। যদিও আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি ও লিখে জানিয়েছি, এখন তনুশ্রীর ওপর বাকিটা নির্ভর করছে।" বহেল আরও বলেন, "কিন্তু এ বিষয় নিয়ে নানা পাটেকরের কথাও আমরা শুনতে চাই। নানার সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, মহিলাদের প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করেন নানা পাটেকর: তনুশ্রী দত্ত
তনুশ্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ৩ অক্টোবর তাঁর সঙ্গে CINTAA-র মিটিং হয়েছে, এবং "তাদের সদস্যদের মর্যাদা, আত্মসম্মান রক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না"। পিটিআইয়ের কাছে দেওয়া CINTAA-র চিঠির প্রতিলিপি অনুযায়ী, "যদি আপনি রাজি থাকেন, তাহলে নালিশের ভিত্তিতে আমরা আবার ঘটনার পূর্ণমূল্যায়ন করতে রাজি এবং ন্যায্য বিচারবিভাগীয় তদন্তেও ইচ্ছুক। নানা এবং আপনার সঙ্গে যুগ্মবৈঠকে সবটা আলোচনার প্রস্তাব রাখছি। এমনকি যেহেতু আপনি পরিচালক রাকেশ সারঙ্গ, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া ও প্রযোজক সিদ্দিকের নাম বারবার উল্লেখ করেছেন, সেক্ষেত্রে তাঁরাও উপস্থিত থাকবেন।"
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, "আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি, সংস্থা ও উপরে উল্লিখিত সদস্যদের উপস্থিতিতে এই কেসটা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতিত্বহীনভাবে বিচার করা হবে।"