মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বুধবার রাত ১টা নাগাদ নিজের বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। বৃহস্পতিবার এই দুঃসংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া টলিপাড়ায়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ইন্দ্রাণী হালদার, শতাব্দী রায়, দেব-অঙ্কুশ সকলেই শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন। টেকনিশিয়ান স্টুডিওর অনেকেই সকাল সকাল ছুটে যান অভিষেকের বাড়িতে। অভিনেতার এমন অকালপ্রয়াণে যেন অনুরাগীদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবার সকালেই অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর জানান মমতা। তড়িঘড়ি প্রয়াত অভিনেতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে ছুটে যান মন্ত্রী। কথা বলেন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে সানায়ার সঙ্গে। স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংযুক্তা। পাশে বসেই আগলে রেখেছেন অভিনেতার নিথর দেহ। উপস্থিত বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের কথায়, এ দৃশ্য যেন চোখে দেখা যায় না। রবিবারেও তো সব ঠিক ছিল। হই-হুল্লোড় করলেন অভিষেক। আর বুধেই সব শেষ! মেনে নিতে পারছেন না শোকবিহ্বল স্ত্রী।
<আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, শোকস্তব্ধ টলিউড>
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়েই অরূপ বিশ্বাস জানান, "অত্যন্ত দুঃখের। . মাত্র ৫৭ বছর বয়সে মারা গেল। সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল অভিষেকের। সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসত। খবরটা পাওয়ার পর থেকেই আমার মন খারাপ। সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে নির্দেশ দিলেন আমাকে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য যেন ভালভাবে সম্পন্ন হয়, সেটা দেখতে। তৎক্ষণাৎ চলে আসি। বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বললাম।"
স্ত্রী সংযুক্তার সঙ্গে কথা বলেই অরূপ বিশ্বাস জানালেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেলা সাড়ে ১২টার সময় মরদেহ রাখা হবে এই অ্যাপার্টমেন্টের নিচতলায়। অনুরাগীরা শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এরপর সেখান থেকে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানে রাখা থাকবে আধ ঘণ্টা। শিল্পী-কলাকুশলীরা শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন