শ্যুটিং করতে গিয়ে কোভিড (Covid-19) সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন করেছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার আইনি বিপাকে পড়লেন অভিনেতা জিমি শেরগিল (Jimmy Shergill)। ঘটনায় অভিনেতা, পরিচালক-সহ ৩২ জনকে বুধবার রাতে আটক করে পুলিশ।
পাঞ্জাবের লুধিয়ানার ঘটনা। সেখানকার আর্য সেকেন্ডারি স্কুলে 'ইয়োর অনার' ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের শ্যুট করছিলেন জিমি। পাঞ্জাব প্রশাসন নাইট কার্ফু জারি করা সত্ত্বেও কীভাবে সেখানে রাতে শুটিং চলতে পারে? সেই প্রশ্ন তুলেই লোকেশনে পৌঁছন পুলিশ। এরপরই লুধিয়ানা থানায় জিমি শেরগিল, পরিচালক ঈশ্বর নিবাস-সহ আরও ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিক মনিন্দর সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সন্ধে ৬টা নাগাদ কার্ফু শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও কোভিড নিয়মক বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রায় ১০০-১৫০ জন জমায়েত করে চলছিল ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং। সেই প্রেক্ষিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিনেতা জিমি শেরগিল ও পরিচালক ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল পরিচালক-সহ সিরিজের দুই কলাকুশলী আকাশদীপ সিংহ এবং মনদীপ সিংহকে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ জামিনও পেয়ে যান তাঁরা।
অন্যদিকে আর্য সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লুধিয়ানা পুলিশ কমিশনার রাকেশ আগরওয়ালের অনুমতি নিয়েই ওই স্কুলে শুটিং করছিলেন জিমি শেরগিলরা। ২৩ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ১০ দিনের শুটিংয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ‘ইয়োর অনার’ ওয়েব সিরিজে এক বিচারকের ভূমিকায় দেখা যাবে জিমি শেরগিলকে। একটি ইজরায়েলি ধারাবাহিক থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ওয়েব সিরিজ তৈরি হচ্ছে।