নতুন করে বিপাকে পড়লেন বলিউডের 'ক্য়ুইন'। সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে দিন কয়েক আগেই কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল বান্দ্রার মেট্রোপলিটন কোর্ট। এবার কঙ্গনা-রঙ্গোলির বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল আন্ধেরি আদালত। অভিযোগ, লকডাউনের সময় দিল্লির তবলিঘি জামাতের সদস্যদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য করেছিলেন। আর তারই ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছিলেন কাশিফ খান দেশমুখ নামে জনৈক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সেই মামলার ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আন্ধেরি আদালত।
চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে অতিমারী আবহে দিল্লির তবলিঘি জামাত নিয়ে কু-মন্তব্য করেছিলেন রঙ্গোলি চান্দেল। যার জেরে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টও সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর ঠিক পরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে ময়দানে নেমে পড়েন বোন কঙ্গনা।
প্রসঙ্গত, আন্ধেরি আদালতে আইনজীবী কাশিফ খান কঙ্গনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইটের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ এনেছিলেন। পাশাপাশি কাসিফ খান এও অভিযোগ করেন যে, কঙ্গনা ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং আইন অনুমোদিত সরকারি সংস্থাকে সম্মান করেন না এবং আইন-আদালতকেও উপহাস করেছেন। আর তাই কাশিফ খান অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১, ১২১ এ, ১২৪ এ, ১৫ এ, ১৫৩ বি, ২৯৫ এ, ২৯৮, এবং ৫০৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। সঙ্গে প্রমাণ স্বরূপ কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টও আদালতে পেশ করেন। এবার তারই মাশুল গুনতে হবে 'রানাউত সিস্টার্স'দের।
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্য়ুর পর থেকেই একাধিক ইস্য়ুতে মুখ খুলে আলোড়ন ফেলেছেন কঙ্গনা রানাউত। কখনও নেপোটিজম নিয়ে বলিউডের প্রভাবশালীদের দিকে তোপ দেগেছেন তো আবার কখনও বা বলিউডের সঙ্গে মাদক যোগ নিয়ে শোরগোল ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের উদ্ধাব ঠাকরে সরকারকেও একহাত নিয়েছেন।
সম্প্রতি, মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা টেনে বিতর্কের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলে দেন কঙ্গনা। যার তীব্র বিরোধিতা করে আসরে নামে শিবসেনা। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের সঙ্গে সরাসরি বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কঙ্গনা। এরপরই বান্দ্রার পালি হিলসে কঙ্গনার অফিস ভাঙে বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। এককথায় একের পর ঘটনায় কঙ্গনা রানাউত এখন শিরোনামে।