পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ডেরায় লড়াইটা কঠিন ছিল। কিন্তু প্রচারের ময়দানে খামতি রাখেননি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তবে বেহালা পশ্চিমবাসীর রায়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিপ্রার্থী তথা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করে এলাকার ৪ বারের বিধায়ক পার্থ। কিন্তু তাতে কী? নির্বাচনে হার-জিত তো থাকবেই। তাই এবার সৌজন্যের নজির গড়লেন রাজ্যের নব-নির্বাচিত শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আচমকাই প্রতিপক্ষ শ্রাবন্তীকে ফোন করে ফেললেন। শুধু তাই নয়, হাতে হাত মিলিয়ে একযোগে বাংলার উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিলেন তিনি।
তৃণমূল সুপ্রিমো কথা দিয়েছিলেন, বিরোধীপক্ষের মতামত নিয়েও বিবেচনা করা হবে। প্রতিপক্ষ শিবিরের সঙ্গে সৌজন্য-সুলভ শলা-পরামর্শ করেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলার উন্নয়ন। দলনেত্রীর সেই কথাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন পার্থবাবু।
দিন কয়েক আগেই মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়াকেও দেখা গিয়েছিল পরাজিত বিজেপিপ্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে, তাঁকে মিষ্টি খাইয়ে সৌজন্যের বার্তা দিতে। সেই একই পথে এবার বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবার সকালে পরাজিত প্রার্থী শ্রাবন্তীকে ফোন করেঠিলেন তিনি। মিনিট খানেকের সেই ফোনালাপে পার্থবাবু অভিনেত্রীকে বলেন, "মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন ঠিকই। কিন্তু তবুও যদি আপনাদের মনে হয়, কোনও জায়গায় ভুল আছে, তাহলে বলতে পারেন। আগামীদিনে আমরা আরও বেশি করে কাজ করে বাংলাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।" উত্তরে শ্রাবন্তী বিধায়ক তথা রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তবে পার্থ শুধু বিজেপি প্রার্থীকেই নয়, তাঁর বিধানসভা এলাকার সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী নীহার ভক্তকেও ফোন করেছিলেন। তাঁকে ফোন করেও একই কথা বলেন তিনি। নীহারবাবুর কাছে তাঁর আবেদন, "বেহালা পশ্চিম এলাকায় উন্নয়নের জন্য কিছু করতে হলে সরাসরি আমাকে ফোন করে বলুন। আপনাদের মতামতকেও গুরুত্ব দেব।"