/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/abirn.jpg)
Abir Chatterjee-Paran Banerjee : বাদামী হায়নার কবলে-তে আবির-পরান
তিনি আবির চট্টোপাধ্যায় ( Abir Chatterjee )। একের পর এক, গোয়েন্দা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কাজ। তিনি ব্যোমকেশ হিসেবে যতটা মানুষের পছন্দের তেমনই ফেলুদা হিসেবেও। আবির চট্টোপাধ্যায় এবার ফিরছেন দীপক চট্টোপাধ্যায় ( Fictional Character Deepak Chatterjee ) হয়ে।
শহরে বাদামী হায়নার ( Badami Haynar Kobole ) প্রভাব বেড়েছে। আর সেই রহস্যের কুল কিনারা করতেই এবার দীপক চট্টোপাধ্যায় আসছেন। প্রায় অনেকবছর পর। সেই বাঙালির রহস্যকে আবার তাতিয়ে দিতে যা শুধুই ব্যোমকেশ এবং ফেলুদার মাঝে সীমাবদ্ধ। স্বপন কুমারের সৃজনে রূপ পেয়েছিলেন দীপক চট্টোপাধ্যায়। পরনে বড় কোট, মাথায় হ্যাট দু হাতে দুটো বন্দুক, এবং এক হাতে টর্চ...স্বপন কুমারের গল্পে মানুষ নাকি লজিক খোঁজেন না, সিনেমাতেও এমনটাই বলা হয়েছে।
সে এক ব্রিটিশ পিরিয়ডের গল্প। সমরেন্দ্রনাথ পাণ্ডে, পেন নেম স্বপন কুমার ( Swapan Kumar ), গোয়েন্দার জগতে তাঁর এমন এক চরিত্র সৃষ্টি করার ইচ্ছে ছিল যেটি অন্যদের থেকে বেশ আলাদা হবে। বিজ্ঞান মনষ্ক হবে, তাঁর সঙ্গেই রহস্যের গন্ধে নাক উসখুশিয়ে উঠবে সহজে। ফেলুদা, ব্যোমকেশ, একেনের ভিড়ে যেন অন্যরকম কাউকে বাঙালি মেনে নিতে পারেন, এমন কিছু।
কীভাবে সৃষ্টি দীপক চট্টোপাধ্যায়ের?
সালটা ১৯৫৩। প্রথম গল্প হিসেবে প্রকাশ পায় অদৃশ্য সংকেত। স্বপন কুমার সৃষ্ট দীপক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের এক গোয়েন্দা। যার কাছ থেকে পুলিশ নিজেও সাহায্য নিতেন। তাঁর এতই এডভেঞ্চারের শখ ছিল যে তিনি বিদেশে পর্যন্ত পাড়ি দিতেন। দুই হাতে বন্দুক চালাতে পারতেন তিনি। শুধু যে গোয়েন্দাগিরি করতেন এমনটা নয়। বরং, তাঁর বিজ্ঞান এবং সাইন্টিফিক গ্যাজেট নিয়েও ছিল বিশাল ঝোঁক। তাঁর বাড়িতেও তিনি, একটা ল্যাবরেটরি খুলেছিলেন।
বেশিরভাগ গল্প বাংলা এবং এই রাজ্যের শহরতলীর বেষ্টনে নির্মিত। প্রায় ২০ টি সিরিজ প্রকাশিত পেয়েছিল। সেই ভিত্তিতেই এবার আবির আসছেন। আর স্বপন কুমারের ভূমিকায় পরান বন্দোপাধ্যায়। এক অন্যরকম গোয়েন্দা গল্প দেখতে চলেছে বাঙালি।