সকালে উঠে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের পেজ স্ক্রল করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছেন নিশ্চই! মুখের আদলটা ঠিক দীপিকা পাডুকোনের মতো লাগলেও বুঝে উঠতে খানিক সময় লেগে গেছে। অ্যাসিড আক্রমণে পুড়ে গিয়ে মুখের চামড়া ঝলসে গেছে তাঁর।
বরাবরই আমরা গ্ল্যামার, প্রাণ খোলা হাসি, বা মস্তানি , পদ্মাবতের মত দৃঢ় চরিত্রে দেখতে অভ্যস্ত দীপিকাকে। তবে এবার তিনি লড়াকু নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন।
আরও পড়ুন: রণবীর-আলিয়া তো বটেই, এছাড়াও কারা পেলেন ফিল্মফেয়ারে সেরার শিরোপা?
মেঘনা গুলজারের পরিচালনায় ‘ছপক’ ছবিতে লক্ষ্মী আগারওয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করবেন দীপিকা পাডুকোন। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের জীবনের কঠিন বাস্তবকে ছবির পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চান পরিচালক। বিগত শেষ ক'টি ছবিতে কয়েকবছর ধরে দীপিকাকে ল্যাহেঙ্গা ও ভারী গয়নায় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল দর্শক। তবে এবার সেই চেনা গতের বাইরে বেরিয়ে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করার সিদ্ধান্ত নিলেন পদ্মাবত ৷
ইতিমধ্যে ঠিক হয়ে গেছে ছবির মুক্তির দিন। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাবে ‘ছপক’। ২৫ তারিখ ভোর রাতে লক্ষ্মীর ভূমিকায় ফার্স্ট লুক সামনে নিয়ে এলেন অভিনেত্রী নিজেই। কোনো ক্রমে বেঁচে গেছে চোখ ও ঠোঁট। বাকি গোটা মুখ অ্যাসিডে ঝলসে গেছে, কুচকানো , প্রথাগত সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে মাপলে 'ভয়াবহ'ও বলবেন কেউ কেউ। তবে হাসিতে প্রাণ আছে। যারা অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের কথা মনে রেখেছেন তারা নিশ্চই ঠাহর করতে পারছেন , ছবির গল্পটা।
নৃশংসতা, অত্যাচার, সমাজের কঠিন বাস্তব, বন্ধুর চক্রান্তর পাশাপাশি নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে ছবির গল্পে।
কে লক্ষ্মী আগারওয়াল ?
বয়স তখন তাঁর ১৫ বছর। দুই বন্ধু আর একজন অচেনা পুরুষ অ্যাসিড ছুড়ে মারে লক্ষ্মী আগারওয়ালের দিকে। কারণ তিনি বিয়ে করতে রাজি হননি। এরপর থেকে জ্বালা যন্ত্রণার প্রাচীর পেরিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসেন লক্ষী। হিংসার পাশাপাশি অ্যাসিড বিক্রির বিরুদ্ধে শুরু করেন প্রতিবাদ। এই লক্ষ্যে তিনি একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন 'স্টপ সেল অ্যাসিড'। লক্ষ্মী আগরওয়ালকে ২০১৪ সালে মিশেল ওবামা আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করেছিলেন।
Read the full story in English