নিজের ডিপ্রেশন নিয়ে বরাবর প্রকাশ্যে কথা বলেছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তবে তিনি এটাও স্পষ্টভাবে বলেছেন, যে নিজেকে সাহসী বা বিদ্রোহী প্রমাণ করার জন্য এই কথাগুলো বলেেলনি তিনি। ৩২ বছরের নায়িকার বলেন, যখন তিনি এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি শুধু চেয়েছিলেন সৎ থাকতে আর চেয়েছিলেন যাতে তাঁর ফ্যানেরা সত্যিটা জানতে পারেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, "আমার জন্য ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা ও বিশ্বকে সেই অনুভূতিটা জানানো দরকার ছিল শুধুমাত্র সৎ থাকার জন্য। চার বছর আগে সেই সময়ে আমার মনে হয়না আমি সাহসী হওয়ার জন্য কাজটা করেছিলাম। বিদ্রোহী হতে তো চাইনি একদমই"। দীপিকা আরও বলেন, তিনি এটা শেয়ার করা জরুরি মনে করেছিলেন। এ ব্যাপারটা আমার জীবন বদলে দিয়েছিল। ভারতে এসবের খুব একটা চর্চা নেই, মানুষ খুব একটা জানেন না।
পদ্মাবত অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, তাঁর মা প্রথম বুঝতে পারেন যে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। আমার ক্ষেত্রে আমি জানতাম না কীসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, মা প্রাথমিক ধাপেই বুঝতে পেরে চিকিতসা শুরু করে। "নিজের কোনও কাজ করতে ইচ্ছে করতনা। আমি জীবন নিয়ে খুশি ছিলামনা কিন্ত কারণটাও বুঝতে পারছিলাম না। তারপরেই কাউন্সেলারের কাছে যাই"। অভিনেত্রী জানান, এই অভিজ্ঞতা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে দৃঢ় করেছে।
তিনি আরও বলেন, "যখন উদ্বিগ্ন লাগত, কেমন যেন পেটের মধ্যে গিট বাঁধা আছে মনে হত। সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যেতাম নিজের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন, নিজের ভাবনা চিন্তাকে সংযত করা দরকার। জোরে জোরে শ্বাস নেয়া জরুরি এবং ঘুমোনও"।
তাঁর কাছে এটা এতই খারাপ অভিজ্ঞতা যে এটা যাতে ফিরে না আসে সে নিয়ে সবসময়ে সতর্ক থাকেন তিনি। অবশ্য পিছলে যাওয়ার ভয় সর্বদা থাকে। তিনি আর ওই অনুভুতিটা ফিরে পেতে চাননা। তাই নিজের ভাবনা, অনুভূতিগুলোকে নিয়ে সচেতন থাকেন দীপিকা।
আরও পড়ুন, শ্রীদেবীকে সম্মান জানাতে মূর্তি তৈরি সুইজারল্যান্ডে
এই মুহূর্তে দীপিকা ব্যস্ত তাঁর বয়ফ্রেন্ড রণবীর সিংয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি নিতে। তবে এবিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হলে এদিন এড়িয়েই গিয়েছেন অভনেত্রী।