করোনা পর্বে মোবাইলের কলার টিউনে অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সচেতনতা বার্তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, সোমবার তা খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট।
সোমবার উচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে যে, কলার টিউন থেকে অমিতাভ কণ্ঠের সতর্কবার্তা আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই এখন এই জনস্বার্থ মামলা সম্পূর্ণ অর্থহীন।
প্রসঙ্গত, এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল ও বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চে। দিল্লির এক বাসিন্দা এই মামলা দায়ের করেছিলেন। কারণ হিসেবে আবেদনকারী জানিয়েছিলেন, বচ্চন পরিবারের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাই তাঁর কণ্ঠে সতর্কবার্তা আর মেনে নেওয়া যায় না।
মামলার আবেদনে দিল্লির বাসিন্দা এবং সমাজসেবী রাকেশ জানিয়েছিলেন, সরকার টাকার বিনিময়ে অমিতাভ বচ্চনকে দিয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলছে। তাঁর কণ্ঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সুপারস্টার ও তাঁর পরিবার সেই সংক্রমণ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি। বরং তাঁর মতে সমাজে অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা করোনা কালে সমাজ ও দেশের জন্য অনেক কাজ করেছেন। দুস্থ মানুষদের অর্থ সাহায্য থেকে শুরু করে বস্ত্র এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। বেশ কিছু করোনা যোদ্ধা নিজেদের সম্বলটুকুও দান করে দিয়েছেন। এরকম অনেকেই বিনা পারিশ্রমিকে দেশের সেবায় নিয়োজিত। তাঁদের কেন সচেতনতা কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছিলেন মামলাকারী। এর পাশাপাশি মামলাকারীর আরও দাবি ছিল যে, অমিতাভ বচ্চনের পুরনো রেকর্ড ভাল নয় এবং সমাজসেবার মাধ্যমে দেশের জন্য কিছুই করেননি তিনি। তার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই কলারটিউন থেকে বিগ-বি’র কণ্ঠ সরানো হয়। কারণ দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। তাই এই প্রক্রিয়া শুরুর দু’দিন আগে বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন জনসচেতনতা বার্তা দিয়ে মহিলা কণ্ঠে কোভিড সতর্কবার্তা চালু হয় কলার টিউনে।
সোমবার সেকথা জানিয়েই, দিল্লি হাই কোর্টের রায়, আগেই অমিতাভের কণ্ঠস্বরের সতর্কতাবার্তা কলার টিউন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই জনস্বার্থ মামলাটির আর কোনও গুরুত্ব থাকছে না।