পিতৃশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি, কিন্তু এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে কুরুচিকর পোস্ট দেখে তিতিবিরক্ত কন্যা পৌলমী বসু। আর সেই কারণেই ক্ষুব্ধ পৌলমী এবার আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগেও যখন প্রবীণ অভিনেতা হাসপাতালের বেডে লড়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন রকম কুৎসা রটে চলছিল। পৌলমীর জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের বেডে তাঁর বাবা যখন গুরুতর শারীরিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়ছেন, ঠিক এই সময়েও কিছু মানুষ তাঁদের বিরুদ্ধে নানা কুকথা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভুল খবরও ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরও তার অন্যথা হয়নি। এখনও সেই একইরকমভাবে কুৎসিত পোস্ট ছড়িয়ে চলেছে। যেসব দেখে রীতিমতো তিতিবিরক্ত কন্যা পৌলমী বসু। তাই এবার যদি এসব বন্ধ না হয়, তাহলে সোজাসুজি পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
সৌমিত্রকে নিয়ে ফেসবুকে এমন সব খবর ছড়িয়ে পড়ে যা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, বরং ভুয়োও। করোনার এই সময়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে কেন কাজ করা থেকে আটকালেন না কন্যা পৌলমী? সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ কিনা? এই সব নানা বিষয়ে শুরু হয় কুরুচিকর পোস্ট। তাই বাবাকে হারানোর পর এবার আর চুপ থাকতে পারলেন না পৌলমী বসু। সোজাসুজি আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সূত্রের খবর, সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু ইতিমধ্যেই লালবাজার সাইবার ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ফেসবুকে এমনই একটি লিংক পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, "এই অর্ধসত্য খবরের কোনও মানে নেই। এই নোংরামো কতদিন চলবে? তারকাদের পরিবারকে নিয়ে মানুষ যা ইচ্ছে তাই বলে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া বলে যা খুশি তাই চলে!" সেই পোস্টের কমেন্ট সেকশনেই তিনি লেখেন যে, এর বিরুদ্ধে এবার পুলিশের দ্বারস্থ হবেন তিনি। অন্যদিকে, ক্রমাগত পৌলমীর পোস্ট রিপোর্ট করার জেরে সেই পোস্টটি তুলে নেওয়া হয়েছে ফেসবুক থেকে। যদিও, তার আগেই সেই পোস্টের স্ক্রিনশট নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।