বন্ধু বোধহয় এমনই হয়। অরুণ রায় মারা যাওয়ার পর দেব এবং রুক্মিণী যে কতটা ভারাক্রান্ত, সেকথা বোধহয় এই দৃশ্য না দেখলে বোঝা সম্ভব না। রুক্মিণীর কাছে তিনি হিরো, বন্ধুকে হারিয়ে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, আন গেলেই তো পার্টে অরুণ দা। অন্যদিকে দেব?
তাঁর কাছে অরুণ রায় খাঁটি সোনা। এমনকি, যখন তিনি অসুস্থ হয়ে আরজি করে ভর্তি, দেব তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। ইশারায়, হাতে লিখে দেবকে নাকি অরুণ বাবু বুঝিয়েছিকেন, এখনও ছবি করা বাকি। কিন্তু, সেই স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল। বরং সকলকে ফাঁকি দিয়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আর শেষযাত্রায় তাঁর সঙ্গী হলেন দেব-রুক্মিনী।
কিঞ্জল জানিয়েছিলেন, বেলা দেড়টা নাগাদ অরুণ রায়ের মৃতদেহ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর সেখানেই, দেখা গেল প্রয়াত পরিচালকের সামনে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন রুক্মিণী। তাঁর হিরোর প্রয়াণে মনমরা অভিনেত্রী। যতক্ষণ শববাহী গাড়ির দরজা খোলা ছিল, একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। দেব যখন সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বন্ধুকে একবার শেষ দেখা দেখে নিচ্ছেন, রুক্মিণী এগিয়ে গেলেন।
গাড়ির দরজা বন্ধ করার আগে একবার শেষবারের মতো তাঁকে দেখলেন। অভিনেত্রীকে দেখা গেল চোখের জল মুছতে। এভাবে তাঁকে কাঁদতে আগে দেখা যায়নি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল কেওড়াতলা মহা শশ্মানে। নিজেদের গাড়িতে না, বরং শববাহী গাড়িতেই শ্মশানে গেলেন দেব-রুক্মিণী।
উল্লেখ্য, দেব সমাজ মাধ্যমে লিখছেন, "অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো বন্ধু…"। বাঘা যতীনের শুটিং শেষ হওয়ার পর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। ছবির প্রোমোশনে সেভাবে তাঁকে দেখা যায়নি। একজন ভীষণ দূরদর্শী পরিচালককে হারালেন দেব। তাই তো, তাঁকে তুলনা করলেন, ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনার সঙ্গে।