শেষ এক মাসে পূজা নিয়ে যতটা উন্মাদনা কম ছিল, গতকাল ঠিক ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। গতকাল থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমেছেন ঠাকুর দেখতে। শ্রীভূমির প্যান্ডেলের সামনে সেই ঢল যেন আবারও প্রমাণ করেছে, বাঙালির কাছে পুজোর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু হতে পারে না।
কিন্তু তারও কিছুদিন আগে, শহরের চিত্র ছিল একদম আলাদা। মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছিলেন নারী সুরক্ষা এবং নারী অত্যাচারের বিরুদ্ধে। গতকালের পর অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন, কিন্তু ঠাকুর দেখার উদ্দেশ্যে। তারকাদের অনেকদিন নিজেদের ছবি প্রচার করেছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই। যারা আন্দোলনে নেমেছিলেন অর্থাৎ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় কিংবা সৃজিত মুখোপাধ্যায়, তারাও কিন্তু নিজেদের পরবর্তী ছবি টেক্কা নিয়ে, বেশ চর্যায় ছিলেন।
স্বস্তিকা বলেছিলেন তিনি উৎসবে ফিরবেন না কিন্তু পুজোতে ছবি রিলিজ করছেন, এই নিয়ে অনেকেই গলা তুলেছিলেন। কিন্তু তারপরে সাধারণ মানুষের এটাও বলেছিলেন যারা চাকরি করছেন কিংবা ব্যবসা করছেন, তারা কি কাজ করছেন না? তেমনি সিনেমাটা আমাদের কাছে কাজ যেটা ওনাদের কাছে বিনোদন।
আর গতকাল, দেব এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায় শান্তিপল্লী পূজা উদ্বোধনে গিয়ে টেক্কার প্রমোশন করলেন। কিন্তু তারা একা নয়, সঙ্গে ছিলেন জন্টি রোডস। শান্তিপল্লীর পূজো উদ্বোধনে গিয়ে, দেব শুধু টেক্কা প্রমোশন করলেন না, গরম তিনি গানও গাইলেন। আর তাদেরকে, পূজা উদ্বোধন ও ছবির প্রমোশন করতে দেখে একদল বেশ কটাক্ষ করলেন।
সৃজিত এবং দেব দুজনকে দেখা গেল একদম ফরমাল পোশাকে। আর অন্যদিকে জন্টি পরেছেন নীল রঙের একটি পাঞ্জাবি। কেউ বলেন একজন বিদেশিও জানে পুজোর সময় কি পড়া উচিত। আবার কেউ এও বললেন, পৃথিবীর বিখ্যাত অভিনেতা বিখ্যাত ফিল্ডার এবং বিখ্যাত পরিচালক সবাইকে তো একসঙ্গে দেখছি। কারোর কথায়, ঘাটালবাসী কবে যে এর মুখে পুরস্কার ছুড়ে মারবে।
অন্যদিকে জন্টি, দেবকে নকল করো দেখালেন। কিন্তু ভক্তদের কথায়, জন্টি মনে হয় ভাবছেন কোথায় এসে পড়লাম যেখানে ছিলাম সেখানেই ভালো ছিলাম। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দেব এবং সুজিতের সঙ্গে তাহলে কি আগামীতে কোন ছবি করতে পারেন জন্টি? সেই উত্তর এখনও মেলেনি।