দেবের জন্য ২০২৩ লাকি নাকি খুব ফ্যাসাদের? শুরুতেই প্রজাপতি, মাঝখানে ব্যোমকেশ, এবং এখন বাঘা যতীন। দেব একের পর এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কিন্তু, বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই পাশ করছেন। বাঘা যতীন ছবিতে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এমনকি, বিনোদিনী হিসেবেও তিনি রুক্মিণীকে ট্রেনিং দিয়েছেন। কিন্তু একদিন এই সুদীপ্তাই...
তিনি থিয়েটারের মানুষ। ছোট থেকেই নাট্যমঞ্চের সঙ্গে আনাগোনা। শুধু তাই নয়, সিনেমায় বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা তিনি পালন করেছেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবিতেও তাঁর নির্ভেজাল অভিনয় জাতীয় পুরস্কার পর্যন্ত এনে দিয়েছিল তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু, আজ দেবের ছবিতে কাজ করছেন তিনি। দেব? যার বাংলা উচ্চারণ নিয়ে একদিন সংশয় ছিল তাঁর? প্রকাশ্যে পর্দায় প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলা উচ্চারণটা কবে ভাল করে বলতে পারবেন তিনি?
কী ঘটেছিল আসলে?
তখন রিয়ালিটি শোয়ের মঞ্চে, হাজির হয়েছিলেন সুদীপ্তা। ইন্ডাস্ট্রির অনেক মানুষের সঙ্গেই তাঁর দীর্ঘদিনের আলাপ। তাই তো, প্রত্যেকের সম্পর্কেই বেশ ভাল কিছুই খবর রাখেন তিনি। সেখানেই শাশ্বত তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, দেবকে যদি প্রশ্ন করতে হয় পেজ থ্রি রিপোর্টার হিসেবে কী করবি? কিছুক্ষণ বেশ ভেবেই সুদীপ্তা এক জোরালো প্রশ্ন করেছিলেন। যার কারণে, দেবকে আজও নানা কথা শুনতে হয়। দেব মারাত্মক চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তারপরেও তাঁর সংলাপ বলার ধরণ নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয় না। সেই নিয়েই একটি প্রশ্ন করেছিলেন অভিনেত্রী।
সুদীপ্তা জিজ্ঞেস করেছিলেন, "দেবের জন্য আমার একটাই প্রশ্ন, ২০২৩ নাকি ২৪ কবে তোমার বাংলা সবথেকে পরিষ্কার শুনতে পাব?" প্রশ্নটি করেই হেসে ফেলেন তিনি। যদিও, শাশ্বতর চোখ কপালে। তখন দেব বেশিদিন হয়নি ইন্ডাস্ট্রিতে। তাহলে কি সেদিন থেকেই লিস্ট বানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি? প্ল্যানিং কি এমনই ছিল, যে ২৩ এর মধ্যেই ছবি সাইন করবেন দেবের সঙ্গে? নাকি, সুদীপ্তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন নিজেকে ঘষা মাজা করতে অন্তত দেবের ২০২৩ পর্যন্ত সময় লাগবে?
প্রসঙ্গত, দেবের বাঘা যতীনের ট্রেলার প্রকাশ্যে আসতেই হইচই। স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অনন্য দেশভক্তের গল্প শোনাতে আসছেন তিনি। যতীন মুখোপাধ্যায় এর এদেশের স্বাধীনতায় যা অবদান, দেব সেই গাঁথা শোনাতেই আসছেন।