Dev kinjal performs Shraddha Rituals: কিছুদিন আগেই হঠাৎ করে খবর এল অরুণ রায় ( Arun Roy Death ) মারা গিয়েছেন। অসুস্থ ছিলেন অনেকদিন। ক্যানসার আক্রান্ত পরিচালক শেষ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন আরজি কর হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, তাঁকে রীতিমতো তদারকিতে রেখেছিলেন, কিঞ্জল নন্দ ( Kinjal Nanda )। দেখতে গিয়েছিলেন দেব নিজেও।
খাদানের ব্যস্ততা যখন তুঙ্গে, তখন হল ভিজিটের সঙ্গে সঙ্গে দেব অরুণ রায়কে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে নাকি কথাও হয়েছিল নতুন ছবি করবেন এই নিয়ে। কিন্তু, না! শেষরক্ষা আর হল না। অবশেষে, একদিন সকালে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে তিনি পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। শেষকৃত্যে সঙ্গে ছিলেন দেব-রুক্মিণী এবং সৃজারা।
এমনকি শ্মশানে পর্যন্ত গিয়েছিলেন তাঁরা। বাঘা যতীন ছবির পরিচালক তিনি। পর্দার ইন্দুবালা সৃজা সেদিন কেঁদে ভাসিয়েছেন। আর এবার দায়িত্ব নিয়ে তাদের শ্রাদ্ধশান্তি করতে দেখা গেল। একজন-দুজন না, পছন্দের অরুণ দার স্বর্গলাভের কামনায় দেব ( Dev ) থেকে রুক্মিণী ( Rukmini Maitra ), কিঞ্জল-সৃজা সঙ্গে আরও অনেকেই কাজ কলেন। নিয়ম মেনে তিল দান থেকে জল-দান সবটাই হল। অরুণ বাবুর সাদা কালো একটি ছবিতে রজনীগন্ধার মালা। তাঁর সামনে বসেই সকল কাছের মানুষরা কাজ করলেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/5ed449f4-01e.jpg)
টলিপাড়ার বুকে এহেন ঘটনা খুবই বিরল। কোনও পরিচালকের চলে যাওয়ায়, তাঁর জন্য টলিউডের এত জনপ্রিয়রা মানুষরা কাজ করবেন, এও ভাবা যায়? কিন্তু সেই দৃশ্যই দেখা গেল। কাছের মানুষরা তাঁকে যে এভাবে শ্রদ্ধা জানালেন তাতে অনেকেই অবাক হলেন। কেউ যেমন দেব এবং রুক্মিণীকে সাধুবাদ জানালেন আবার কেউ এও বললেন, উনার কপাল ভাল, যে এত মানুষ তাঁর জন্য প্রার্থনা করছেন।
উল্লেখ্য, দেবের সঙ্গে যখন বাঘা যতীন করছেন তখন তাঁর শারীরিক অসুবিধা না থাকলেও, ছবির প্রোমোশনের সময়, তিনি বেশ অসুস্থ। তখন প্রায় দু-তিনটি কেমো তিনি নিয়ে নিয়েছেন। তারপর, অসুস্থ ছিলেন অনেকদিন। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না।