এক দেশ মানবের উপাখ্যান বলতে আসছেন দেব। 'বাঘা যতীন' অর্থাৎ যতীন মুখোপাধ্যায় এর ভূমিকায় এবার সিলভার স্ক্রিন কাঁপানোর পালা। দেব, তাও আবার স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভূমিকায়। অভিনেতার অভিনয়, বলা উচিত ট্রেলার দেখে মুগ্ধ দর্শকরা।
Advertisment
একই অঙ্গে ভিন্ন রূপ। দেবের নানা লুক প্রকাশ্যে এসেছে। ট্রেলার থেকে টিজার - কাঁপিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। বাঘা যতীনের ভূমিকায় নিজেকে গড়ে পিঠে ভালই আকার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সংলাপ বলার ধরনেও বদল এনেছেন। কখনও অঘোরী বাবা সেজেছেন, আবার কখনও পাঞ্জাবি বেশভূষা, মাথায় পাগড়ি, গাঢ় গোঁফ। তবে, এবার তাঁকে দেখলে চমকে যেতে হয়। কারণ?
প্রকাশ্যে দেবের নতুন লুক! তাঁকে চিনতে পারার জো নেই। গায়ে ছেঁড়া ফাটা কম্বল। মুখে অজস্র দাগ। এবার তিনি ভিক্ষুকের বেশ নিয়েছেন। একগোছা দাঁড়ি, মাথায় উস্কো খুস্কো চুল, আদ্যোপান্ত অন্যবেশে অভিনেতা। বলে না দিলে ধরা যাবে না। তাঁর এই রূপদান করেছেন মেকাপ আর্টিস্ট সোমনাথ কুন্ডু। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় অজস্র চরিত্র প্রাণ পায়। দেব যেন নতুন করে সেজে উঠলেন।
তখনকার দিনে, স্বাধীনতা সংগ্রামীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতেই অনেক রূপ ধারণ করতে। এতে তাঁদের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে এবং কার্য পরিচালনা করতে অনেকটাই সহজ করে তুলত। সেই সমস্ত কিছুই দেব শ্রেষ্ঠভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
কেমন লাগছে তাঁকে দেখতে?
দেবের এই প্রসঙ্গে কী বক্তব্য?
অভিনেতা জানিয়েছেন, এটি তাঁর কাছে এক নিদারুণ সুন্দর অভিজ্ঞতা। অতীতে অর্থাৎ স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ইতিহাসে সংগ্রামীরা এহেন নানা রূপ ধারণ করতেন। মুক্তিযোদ্ধারা, একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ছদ্মবেশের মূল্য জানতেন। ব্রিটিশদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা যেমন তাদের চেহারা পরিবর্তন করতেন, তেমনি আমার চরিত্রটিও প্রতিরোধের শিখা জ্বালিয়ে রাখার জন্য একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি সত্যিই ধন্য বীরত্বের সঙ্গে জুড়তে পেরে।