পুজোয় ডার্ক ওয়েবের অজানা তথ্য নিয়ে রুপোলি পর্দায় আসছে দেব অ্যান্ড কোম্পানি। তবে এদিন দেবের অফিসে পৌঁছতেই বোঝা 'পাসওয়ার্ড'-এর ঝঁক্কি যে এখানে শেষ নয়, শুরু কেবল। প্রমোশনের হাজারো ঝামেলা তো ছিলই সঙ্গে জুড়েছিল সিনেমাহল না পাওয়ার সমস্যা। তবে দেবও দশহাতে কাজ সামলাতে পারেন বললে কম বলা হবে না। অফিসে ১০ মিনিট ফাঁকা সময় পেয়েছিলেন তার মধ্যেই কথা আড্ডা হল আসন্ন ছবি নিয়ে।
'পাসওয়ার্ড'-এর ঝামেলা মেটাতে কী কী করতে হচ্ছে?
অনেককিছু (হাসি)। যতদিন না ছবি মুক্তি পাচ্ছে এসব তো থাকবেই। শুধু পাসওয়ার্ড নয়, যেদিন থেকে প্রযোজক হয়েছি, ভেবেছি নতুন কিছু করব তখন থেকেই চলছে। আসলে নতুন কিছু করতে গেলে বাঁধা তো আসেই। চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডিংও সহজে হয়নি কিন্তু।
সাই-ফাই থ্রিলার, প্রমোশন কীভাবে করবেন ভেবেছিলেন?
প্রথমে একটা প্রশ্ন ছিলই। এটা সাই-ফাই থ্রিলার, আপনারা যখন ছবিটা দেখবেন মনে হবে অন্য কোনো প্রোডাকশঅন দেখছেন। ট্রেলারটা ছবির ১০ শতাংশ। তখনও সিজি তৈরি হয়নি আমার। তবে সেই মতো প্ল্যান করেই এগিয়েছি ট্রেলারটা সবার শেষে বার করি। আর ডার্ক নেট খুব শক্ত বিষয়, দশর্ককে কীকরে বোঝাব ভাবছিলাম কিন্তু যেহেতু আমাদের সামনে অনেক ভিক্টিম ছিল কাজটা তারাই সহজ করে দিলেন। সাধারণ মানুষের প্রতারিত হওয়ার কাহিনি ওভাবেই বলা শুরু করলাম।
ডার্ক ওয়েব নিয়ে ছবি, সেনসিটিভ বিষয়, প্রভাবটা যদি জনমানসে উল্টো হয়।
এরকম অনেক সময় হয়। কবীর-এর ক্ষেত্রেই হয়েছিল। বাস্তববাদী ছবির ক্ষেত্রে বেশি এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। কিন্তু আমরা মুম্বইয়ের থেকে কম করেও ২০ বছর পিছিয়ে আছি, হলিউড ছেড়েই দিলাম। এই গ্যাপটা কমাতে হলে আজকের বিষয় বেছে নিয়ে ছবি করতে হবে। মুম্বাইয়ে এই রকমের ছবি হয়নি। আজ প্রত্যেকের হাতে স্মার্টফোন তাই তোমাকেও সেই পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। আসলে যে দর্শক হলিউড ছবি দেখতে পছন্দ করেন যেখানে বুদ্ধি খরচ করতে হয় তাদের ছবিটা ভাল লাগবে।
এবার তো সাগরপারের প্রযোজকরাও জানতে চাইছেন, "ক্যায়া পিকচার বানায়া তুমনে?" "স্টোরি ক্যায়া বতা" (হাসি)। টেকনিক্যালি এই ছবিটা এগিয়ে।
আরও পড়ুন, যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন বোধহয় ভগবানই শক্তি দেন: পল্লবী
পুজোয় রিলিজ একসঙ্গে চারটে বাংলা ছবি। দেবের সঙ্গে হল না পাওয়ার একটা নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।
(হাসি) এই ছবিটা নিয়ে প্রথম থেকে লড়াই করছি। এরকম একটা বিষয় নিয়ে কাজ... আমার নাম সৃজিত মুখোপাধ্যায় নয়, সুতরাং আমায় হলে দর্শক আনতে হবে। আমার ছবি নিয়ে শহরে আলোচনা হবে সেই জায়গায় আসতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস একদিন বুঝবে যে ছেলেটা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কিন্তু যে প্রোডাকশন হাউস সারাবছর ছবি আনছে তাদের দিকে তো ডিস্ট্রিবিউটররা ঝু্ঁকবেই।
এটা সত্যি। কিন্তু আমাদের মতো প্রযোজকরা টাকাটা যদি ঠিকঠাক রির্টান পায় তাহলে আমরাও বেশি ছবি করতে পারি। এই বিশ্বাসটা তো আসতে হবে, যে না ছবি করলে টাকাটা ফেরত আসবে। তবে কতদিন লড়ব এটা প্রশ্ন।
অভিনেতা- প্রযোজক হয়েছেন বলে প্রোডাকশন বুঝতে বেশি সুবিধে হয়?
না আমি এখনও খুব খারাপ অভিনেতা। তবে জিজ্ঞেস করলে বলতে চাইব অভিনেতার থেকে বেশি ভাল প্রযোজক। তবে যে বিষয়গুলো নিয়ে ছবি করি সেখানে কিন্তু আমি ভাল বলতে পারেন, এক্সপেরিমেন্ট করি। আসলে ক্ষিদেটা এখনও রয়ে গেছে।
টলিপাড়ার অন্দরে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সত্যি কথা বলতে ভাল না। আমায় কেউ সাপোর্ট করে না সেভাবে। আমি প্রত্যেকের জন্য টুইট করি কিন্তু উল্টোটা দেখতে পাবেন না খুব একটা। আমি আশাও করিনা। যাক গে। (একটু মন খারাপই হল বোধহয়)।