তাঁকে টলিউডের শেষ সুপারস্টার বলা যেতে পারে। কারণ, তিনি দেব। এহেন ফ্যান ফলোয়িং, এহেন ভালবাসা তার পরে আর কেউ পেয়েছেন বলে মনে হয় না। আজ তার জন্মদিন। অভিনেতা, নিজের জীবনের এমন দিন দেখে আজকে দেব হয়েছেন, সেকথা শুধু তিনিই জানেন।
Advertisment
আজ, তার সফলতা আকাশ ছুঁয়েছে। তিনি অভিনেতা দেব থেকে প্রযোজক হয়ে উঠেছেন। একের পর এক ছবি তিনি প্রযোজনা করছেন। রিলিজ করেছে প্রধান। সেই নিয়েও উন্মাদনা তুঙ্গে। কিন্তু, শুরুর দিন থেকে মোটেই এই দিনগুলো এমন ছিল না। অভিনেতা জানান কীভাবে নিজে স্ট্রাগল করেছেন। তাঁর থেকেও বেশি তাঁর বাবা মা।
যেভাবে তারা তাঁকে বড় করে তুলেছেন, সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। দেব বলেন, জীবনের সবথেকে বড় সাপোর্ট সিস্টেম তাঁর মা বাবা। যেভাবে লালন পালন করেছেন, তাতে এটুকু বোঝা যায় যে আমি যদি স্ট্রাগল করে থাকি তাহলে ওরা জাহান্নাম দেখেছেন। আমি সেই জন্যই নিজের থেকেও বেশি ওদের নিয়ে ভাবি। নিজের জীবনের প্রথম উপার্জন করা টাকাও বাবার নামে নিয়েছিলেন তিনি।
কী করতেন দেব?
অভিনেতা বলেন, নিজের প্রথম বাংলা ছবির আগে তিনি মুম্বাইয়ে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করতেন। দেবের কথায়, আগে কী হত, একটা মিউজিক অ্যালবামে একদম প্রথম গানটা কোনও সুপারস্টারকে দিয়ে করানো হত, ধরুন আলতাফ রাজা। আর বাকি যে ৭টা গান, সেটায় আমাদের মত মডেলরা কাজ করত। আমার মনে আছে, আমি সেভাবে অনেক টাকা রোজগার করি। সারাদিনে অন্তত ৩টে গানের শুটিং করতাম। এবং আমার পারিশ্রমিক ছিল গান প্রতি ১০০০ টাকা। তো ধরো দুদিন কাজ করে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা পেয়েছিলাম।
সেই টাকা দিয়ে কী করেছিলেন দেব? হাসির ছলেই তিনি বলেন, আমি নিজের নামে টাকা তুলি নি পর্যন্ত। ব্যাংক একাউন্ট ছিল না। বাবার নামে চেক পেয়েছিলাম। তো, বাবা আমায় বলেন, তোমার প্রথম টাকা তুমি যা খুশি করো। আমিও সেই টাকা দিয়ে দাদর থেকে জামা কাপড় কিনলাম। আর মাকে আমি নিজের সব ছবির পারিশ্রমিক দিয়ে মাকে একটা শাড়ি কিনে দি। সেইটা পড়েই মা ছবির প্রিমিয়ারে যান।
উল্লেখ্য, আজ সকাল সকাল তিনি গিয়েছিলেন সকলের সঙ্গে চা খেতে। ভোরবেলা তিনি চা খেয়েই জন্মদিন উদযাপন করেন। এছাড়াও পাশে ছিলেন রুক্মিণী। আজই, নিজের নতুন ছবির ঘোষণা করেছেন তিনি। সৃজিতের সঙ্গে ছবি করছেন, যার নাম টেক্কা।