বাঘা যতীন রিলিজ করে গিয়েছে গতকাল। দেব ফের একবার চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে অভিনয় করেছেন। শুধু তাই নয়, অভিনেতা যেভাবে বীর বঙ্গ সন্তানের ভূমিকায় শেষ শট অবধি জিইয়ে রেখেছিলেন তাতে বেশ চমকে যেতে হয়। এক ঐতিহাসিক দাপুটে বিপ্লবীর চরিত্রে অভিনয় করা নেহাত সহজ কাজ নয়, সেটি চেষ্টায় ত্রুটি রাখেননি তিনি।
Advertisment
অভিনেতা, নিজেও বেশ আপ্লুত এহেন একটি চরিত্র করতে পেরে। বাঘা যতীনের বীরত্বের সঙ্গে সঙ্গেই ছিল প্রখর বুদ্ধি। ফাইন্যান্স অফিসার হওয়ার পরেও দেশদ্রোহীদের তিনি একবিন্দু ছেড়ে কথা বলতেন না। সাহস ছিল বিরাট। এমনকি, বড়লাট থেকে অফিসার টেগাট তাঁকে যথেষ্ট সমীহ করে চলতেন। এমন একজন মানুষ, কিন্তু মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই দেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন চোখে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। তাই তো, এই বীর সন্তানকে নিয়ে বড় কথা বললেন দেব।
অভিনেতার কথায়, বাঘা যতীন ছবিতে সর্বমোট ৯২টা চরিত্র রয়েছে। এবং স্বাধীনতার ইতিহাসে এদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাঘা যতীন, তো তাও জায়গা পেয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। আমরা জানিও না এমন কতজন রয়েছেন। আমি বাঘা যতীনের ভূমিকায় রয়েছি বলে না, এটুকু বলতে পারি বাঘা যতীন বেচেঁ থাকলে আজ গান্ধীজির জন্ম হত না। এমনকি একথা ব্রিটিশ বাহিনীর অফিসার টেগাটের আত্মজীবনীতে লেখা আছে। যদি, বাঘা যতীন থাকতেন তবে গান্ধীজি আসতেন না।
সঠিক সময়ে সবটা ঠিকঠাক হলে কী কী হতে পারত?
দেব বলেন, "সেদিন যদি অস্ত্র জার্মানি থেকে সোজা চলে আসতে পারত তবে দেশ এক দুইবছরের মধ্যে স্বাধীনতা পেত। ১৯১৫ থেকে ১৭ এর মধ্যেই দেশ স্বাধীন সূর্য দেখতে পেত। জার্মানির ক্রাউন প্রিন্সের তরফে তিনি যা সাহায্য পেয়েছিলেন সেটি বলার ভাষা নেই। শুধুই কপালের বশে তিনি কিছু করতে পারলেন না।"
যদিও, এর আগে দেব জানিয়েছিলেন, বাস্তবের বাঘা যতীন যদি তিনি হতেন তবে দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় অনেক বদল আনতেন। এমনকি চেষ্টা করতেন যেন মানুষকে আর বোকা বানানো না যায়। গতকাল ছবি রিলিজ করার পর থেকেই তাঁকে ভালবাসায় ভরিয়েছেন দর্শকরা।