ফের 'বেফাঁস' মন্তব্য রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ'র (Soumitra Khan)। হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) অনুষ্ঠানে শিশির অধিকারীর সঙ্গে একই মঞ্চে তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবের (Dev) উপস্থিতির কথা ফলাও করে ঘোষণা করেন সৌমিত্র। রাজ্য-রাজনীতিতে দল-বদলের হাওয়ার মাঝে বিজেপি নেতার এমন টুইট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। স্বাভাবিকবশতই নেটদুনিয়ায় প্রশ্ন ওঠে, "দেবও কি তাহলে গেরুয়া শিবিরের পথিক?" এই বিতর্ক নজর এড়ায়নি ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের। অতঃপর সৌমিত্র খাঁয়ের আমন্ত্রণ নেটদুনিয়াতেই নাকচ করে দিলেন দেব। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাফ জানিয়ে দেন, "আপনি তৃণমূলে থাকাকালীন আমাদের একসঙ্গে অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। সেটাই থাক। তবে আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারছি না।"
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দেব জানিয়ে দেন যে, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় দুটি প্রকল্পের শিলান্যাসের জন্য রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাকে কিনা একুশের বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারের কড়া 'কৌশলী' হিসেবেও দেখছে রাজনৈতিকমহল। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থাকার কথা শিশির অধিকারীর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব এবং তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী থাকতে পারেন বলে জোর জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। সৌমিত্র খাঁ-ও এই বিষয়ে বেঁফাস মন্তব্য করে বসেন। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ দেব জল্পনা উড়িয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি উপস্থিত থাকছেন না মোদীর অনুষ্ঠানে।
বিজেপি নেতার মন্তব্য়ের পালটা দেব জানান, "সৌমিত্র আপনার রাজনৈতিক যাত্রা এবং সাফল্য দেখে আমার গর্ব হয়। আমন্ত্রণ পেয়েও আমি ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছি না, তার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা আগে একই দলে (তৃণমূল) থাকার সময় যে সুন্দর সময় কাটিয়েছি, তা এখনও লালন করি আমি। আপনার এবং আপনার দলের প্রতি আমার শুভকামনা রইল।"
টুইটে সৌহার্দ্য প্রকাশ করলেও গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাকে যে তিনি অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তা নজর এড়ায়নি রাজনৈতিকমহলের। দেবের পালটা উত্তরকে একপ্রকার 'সুচারু খোঁচা' হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক ময়দানের একাংশ।