মহানায়কের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো নিয়ে কোজাগরী পূর্ণিমার দিন আলোচনা হবে না এও সম্ভব না। উত্তম কুমারের বাড়ির পুজোর সমস্ত নিয়ম কানুন এখন নিজে হাতে সামলান নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী দেবলীনা।
Advertisment
দেবলীনার দুই বাড়ির পুজো। শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ি। দুই বাড়িতেই তাঁর সমান ভূমিকা। নিয়মের নয়ছয় হয় না। বরং সবটাই দায়িত্ব নিয়ে পালক করেন তিনি। এবারও ব্যতিক্রম নয়। পুজোর একদিন আগে থেকেই চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে তোড়জোড় শুরু। বরণ করে মা লক্ষ্মীকে ঘরে তোলেন তাঁরা। এমনকি, মঙ্গলঘট জল ভর্তি করে দেবলীনাই ঘরে নিয়ে আসেন।
শ্বশুরবাড়ির পুজো গুছিয়েই বাপের বাড়ি আসেন তিনি। কী কী করতে হয় তাঁকে? পুজোর কদিন যেমন আনন্দ করে কাটান তেমনই লক্ষ্মী পুজোর দিন থাকে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দেবলীনার পরনে লাল রঙের শাড়ি, মজার ছলেই তিনি বলে ওঠেন, এই শাড়িটা দিদি নম্বর ওয়ান থেকে পাওয়া। গতকাল থেকেই চলছে সবটা। শ্বশুরবাড়ির লক্ষ্মীর সাজ শৃঙ্গারের পর নিজের বাপের বাড়ির ঠাকুরকে একদম ট্রেন্ডিভাবে সাজিয়েছেন তিনি। সাদা লাল ডিজাইনার শাড়ি, পলার গয়না... খামতি থাকে নি কিছুতেই।
অভিনেত্রী বলেন, আমার পুজোর সবটা করতেই ভাল লাগে। ছোট থেকে নৈবেদ্য সাজাতে শিখেছিলাম, সেটা ভালবেসে করি। পায়েস আমি নিজে হাতে বানাই। এছাড়া ধরো, শ্বশুরবাড়িতে আমায় নিজে হাতে ঘট বসাতে হয়। সেটা একটা বিরাট দায়িত্ব। আমি যদি, ঠিকঠাক সেটাকে প্লেস না করি তবে বিপদ। এগুলো করতেই হয়। আমি এধরনের কাজ করতে খুব ভালবাসি।
ভোগে কী কী থাকবে এবার?
দেবলীনার নিজের বাড়ির পুজোয় অনেককিছুই থাকে। এবারও, লুচি, পোলাও, ছানার ডালনা, আলুর দম, সবকিছুই থাকবে। এছাড়া রাতের জন্য চিপস, চকলেট... যেহেতু মা লক্ষ্মী বাড়ির মেয়ে তাই তাঁকে সেভাবেই আদর যত্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, দুই বাড়ির পুজোই সমান গুরুত্বপূর্ন। দেবলীনা রীতিমতো গৌরবকে সঙ্গ দিতে থাকেন প্রতি মুহূর্তে। গতকালও কার্নিভালে যাওয়ার আগে ঠাকুর বরণ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।