হরিণঘাটায় রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাক আউটের ক্যাম্পাসে যা ঘটনা ঘটেছে সেটা অনেকের জানা। বিশেষ করে পায়েল বন্দোপাধ্যায় নিজের মতো করেই এর উত্তর দিয়েছেন। সেদিনের ঘটনা যে একধরনের নাটক এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু, এই ঘটনায় বেশ উদ্বিগ্ন শিক্ষা সমাজ। কেউ কেউ তো এহেন কান্ড দেখে অবাক।
অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার, যিনি নিজেও একজন অধ্যাপক - তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই প্রসঙ্গে। দেবলীনা কুমার, তিনি যেহেতু একজন পাবলিক ফিগার, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। তারপর, মহানায়ক উত্তম কুমারের নাতি গৌরবের সঙ্গে যেহেতু তাঁর বিয়ে হয়েছে, ফলে এখন তাঁকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। দেবলীনা একজন অভিনেত্রী সঙ্গে যখন একজন অধ্যাপক, এই ঘটনাকে তিনি কিভাবে দেখছেন? সেই নিয়েই তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে বললেন....
"আমি সমাজ মাধ্যমেই বিষয়টা দেখেছি। পরে শুনলাম উনি কিছু একটা এক্সপ্লেনেশন দিয়েছেন। উনি নাকি বলেছেন এর আগে পরে কিছু একটা আছে, কিন্তু সেটা বাদ দিয়ে শুধু এডিট করে ওটুকু অংশ দেওয়া হয়েছে। মনে হয়, উনি অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি পড়ান। উনি হয়তো সেই বিভাগের প্রধান। কিন্তু, একজন অধ্যাপক হিসেবে অন্যভাবেও ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়া যায়, অন্তত আমার সেটাই মনে হয়। আমি হলে, অবশ্যই বলব যে অন্য কোনও ওয়ে আউট নিশ্চই থাকত।"
দিন দিন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাখঢাক থাকে না অনেকেরই। সেকারণেই কি শিক্ষক এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে সম্মান এবং সমীহ করার সম্পর্ক কমছে? দেবলীনা বলছেন...
"একটা তো সোশ্যাল মিডিয়া বটেই। কিন্তু, আমার ক্ষেত্রে এটা অবশ্যই বলব যে যারা আমার বর্তমানে স্টুডেন্ট তাঁদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আমি একসেপ্ট করি না। কিন্তু, আমার ইনস্টাগ্রাম সেটা তো খোলা মাধ্যম। ফলে, তাঁরা দেখতে পায় সব ছবি। আমি তো সেটাতে আটকাতে পারি না। কিন্তু, হ্যাঁ! আমি এটুকু বলব এখন না ছাত্রদের এখন অনেক কিছু পাল্টে গিয়েছে। তাঁদের চারপাশের পরিবেশ এবং বেড়ে ওঠা সবটাই খুব ভিন্ন। আমরা হয়তো ম্যামদের এটা বলেছি, যে পরীক্ষা নেবেন না আজ, আমরা তৈরি না। কিন্তু, পরীক্ষার হলে এটা বলছি যে ম্যাম একটু এগিয়ে যান তাহলে পাশের জনের থেকে দেখে নেব, এসব আমরা বলিনি।"
উল্লেখ্য, বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের দরুণ সবটাই অনেকটা পাল্টেছে। রাখঢাক নেই কিছুতেই। সেকারণেই কি এধরনের কান্ড বাড়ছে, এমনটাই উঠছে প্রশ্ন।