New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/04/dhadak-759.jpg)
Dhadak Full Movie Review: জাহ্নবী কাপুর অভিনীত এই ছবির বিশ্বাসযোগ্যতায় অভাব রয়েছে
Dhadak Full Movie Review: জাহ্নবী কাপুর ও ঈশান খট্টরের এই ছবিতে না অপরিহার্য নাটকীয়তা আছে আর না রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা। শইরাতের অনুপ্রেরণার ছবি হিসাবে এবং স্বতন্ত্র বলিউডি রোমান্টিক ঘরানায় ধড়ক ছাপ ফেলতে অক্ষম।
Dhadak Full Movie Review: জাহ্নবী কাপুর অভিনীত এই ছবির বিশ্বাসযোগ্যতায় অভাব রয়েছে
শুভ্রা গুপ্তা
Dhadak movie cast: ঈশান খট্টর, জাহ্নবী কাপুর, আশুতোষ রাণা, খরাজ মুখোপাধ্যায়, আদিত্য কুমার
Dhadak movie director: শশাঙ্ক খৈতান
Dhadak movie rating: ১.৫/৫
Dhadak Movie Review: শইরাতের রিমেক করা, তাও আবার বলিউড মেইনস্ট্রিমে। সে কারণে সবসময়েই নজরে ছিল এই ছবি। ২০১৬ র লভ ইন দ্য টাইম অফ কাস্টের সিনেম্যাটিক ভার্সন অনেক বেশি ভোঁতা ও নরম, কারণ বেশি বাস্তববাদীতা আমাদের মেনে নিতে সমস্যা হয়। পর্দার মাধ্যমে সজোরে থাপ্পড় মারার ক্ষিদে যে শইরাতের পরিচালক নাগরাজ মঞ্জুলের মতো এখনও পর্যন্ত ভারতে ফিল্মমেকারের নেই। একমাত্র এই ধারণার সঙ্গে মানানসই সানাল শশীধরণ। সঙ্গত কারণেই তারা বলিউডে কাজ করেন না। আমার অনেক কিছু প্রত্যাশা ছিল করণ জোহরের প্রোডাকশেনের থেকে- যা পেয়েছি সেটা হল মাজাঘসা করে থালায় সাজানো শিল্পরুচি সম্মত প্রজেক্ট, যার মধ্যে কোনও অনুভূতির লেশ মাত্র নেই।
পরিচালক শশাঙ্ক খৈতানের আগের ছবি (হামটি শর্মা কি দুলহনিয়া ও বদ্রীনাথ কি দুলহনিয়া) মতো প্রাণখোলাভাবটা তার এই ছবিতে নেই। ধড়কের মধ্যে সেই প্রাণবন্ত ব্যাপারটা মিসিং। তাই জোহর যতই চেষ্টা করুক দুই প্রেমীর মধ্যে রসায়ন তৈরি করতে করতে, যদি দুজন মানুষ তাদের আবেগ-উত্তেজনা ভাগ করে নেওয়ার সময়ও সচেতন থাকে আর সেটা পর্দায় বোঝা যায়, তাহলে সেটা আর যাই গোক প্রেমের ছবি হিসাবে দাঁড়াতে পারে না।
কিছু জায়গা ছাড়া, জাহ্নবী কাপুর ও ঈশান খট্টরের এই ছবিতে না অপরিহার্য নাটকীয়তা আছে আর না রয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা। শইরাতের অনুপ্রেরণার ছবি হিসাবে এবং স্বতন্ত্র বলিউডি রোমান্টিক ঘরানায় ধড়ক ছাপ ফেলতে অক্ষম। বলতে দ্বিধা নেই, নো 'ধক ধক' ইন দিস ধড়ক।জাত পাত এই ছবির বড় অংশ যা দর্শককে উত্তেজিত করতে সমর্থ হয়নি। কাস্ট নিয়ে কোনও ছবি করলে সেই ইস্যুকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করতে হয়। যা মিসিং।
তবে বলতেই হয় দুজনের প্যাশন ছিল ভরপুর। মধুকর ও পার্থবির 'নোকঝোঁক' এর পরিমাণ বেশী। কিন্তু প্রেমের গভীরতা ও তীব্রতা ততটা নেই। না মাজিদির নায়ক খট্টরের মধ্যে না শ্রীদেবী কন্যার মধ্যে। যদিও দাবী করা হয়েছিল প্রেমের জন্য মরণপণ লড়াই করবেন তারা। গ্রামীণ মহারাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছিল সাইরাত। পড়ে পরিস্থিতি তাদের হায়দরাবাদে নিয়ে যায়। পরশু এবং আর্কী কঠিন পথ চলতে শুরু করে বুখতে পারেন তারা পালাতে পারে কিন্তু লুকোনো সম্ভব নয়। তা শিখুন, কিন্তু লুকান না, এবং আর এই সত্যিটাই আমাদের চমকে দেয় ক্লাইম্যাক্সে।
ধড়ক আমাদের উদয়পুর এবং কলকাতায় নিয়ে যায় এবং ঝা চকচকে দৃশ্য এবং মধুকর ও তার 'ওনচি-জাতের'পার্থবির প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছে।তার দেখিয়েছে তার রাগী বাবা জন্য যে (রানা) কঠিন সময় দিয়ে যায় করে যায় তা এত সহজেই শেষ হয়না।
শেষপর্যন্ত , এই গল্পের দুটো চরিত্র আদিত্য কুমার (রূপ) ও খরাজ মুখোপাধ্যায়, পরিত্রাতা হিসাবে দেখা যায় ছবিতে, তারাই আপনার মন কাড়বে। সহজে পরিবর্তনশীল মুখ হিসাবে খট্টর অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখ। কিন্তু কাপুরকে বেশ কষ্ট করেই আবেগ আনতে হয়েছে।তাদের মত করে হলেও জুটি হিসাবে তারা প্রাণবন্ত, উচ্ছল নয় পর্দায়। পুরোটাই জোর দিয়ে করতে হয়েছে।
একটি আধুনিক বলিউড রোম্যান্টিক ছবি যা সমসাময়িক জাতি-শ্রেণীর বিভাজনে নতুন সীমারেখা দেখাল।ধড়ক, এটা নয়।
.