Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

"দর্শক জীবনের সাব নোটগুলোকে বেশি ভাল বুঝতে পারে"

যে লোকটি নারকোস দেখছে সে বাংলা কনটেন্ট দেখতে চায়। আমি বাধ্য সে জায়গায় পৌঁছতে যাতে তার মনে না হয় এটা আঞ্চলিক কাজ এর থেকে বেশি কি হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দর্শকের ভাল লাগলে একটা প্রত্যাশা বেড়ে যায়, সৌরভ চক্রবর্তী। ছবি- সৌরভের ফেসবুক পেজ থেকে

ধানবাদে এক পরিচালকের যাত্রা, সফর সঙ্গী সহকারী। ধানবাদ ব্লুজ নিয়ে রজতাভর ব্যর্থ পরিচালকের গল্প। যিনি জীবনের শেষদিকে ঝরিয়ায় ছবি তৈরি করার অফার পান। রাজনীতি, নিষিদ্ধজগৎ, ব্যর্থ পরিচালনার এমনই গল্প নিয়ে ওয়েব সিরিজ তৈরি করেছেন পরিচালক সৌরভ চক্রবর্তী। এদিন হইচইয়ের নতুন ওয়েব সিরিজ থেকে নিজের প্রযোজনা সংস্থা ট্রিকস্টার স্প্যান নিয়ে কথা বললেন সৌরভ।

Advertisment

ধানবাদের ব্লুজের ঝলকই তো ট্রেন্ডিং?

এটা ভীষণ ভাললাগার একটা জায়গা। আমাদের সবার পরিশ্রম করে তৈরি করা কঠিন কাজ। সবদিক থেকে কঠিন ছিল লোকেশন, বাজেট, কনসেপ্ট সবটা। পুরো প্রেক্ষাপটাই দেখানো চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেটা যে দর্শকের এতটা পছন্দ হবে সত্যিই ভাবিনি।

এই সিরিজের কাস্টিং করা কতটা কঠিন ছিল? 

মোটেই সহজ কাজ ছিল না। প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে গেছে। দীপক হালদারকে যেমন ভীষণ ইন্টারেস্টিং চরিত্রে দেখা যাবে। কৌশিক কর থিয়েটারের স্টার, ওকেও আলাদভাবে দেখতে পাবেন। অমিত ভগত, শ্রীতমা দে সঙ্গে রনি দা (রজতাভ দত্ত), অপা দি (অপরাজিতা আঢ্য), ইমরান হাসনি এদেরকে একসঙ্গে নিয়ে আসাটা তো কঠিন ছিল বটেই।

publive-image ধানবাদ ব্লুজে রজতাভ দত্ত। ছবি- হইচই

ধানবাদ ব্লুজের মতো বিষয় বাছার কোনও বিশেষ কারণ...

আমরা যখন জাপানি টয় করি ভাবিনি মানুষ সেটাকে সেক্স কমেডির অ্যাঙ্গেলে না দেখে সোশাল স্যাটায়ার হিসাবে নেবে। আমাদের একটা ধারণা থাকে তো মানুষ কি এটা নেবে? তখনই বারবার প্রমাণিত হয়, দর্শক জীবনের সাব নোটগুলোকে বেশি ভাল বুঝতে পারে এবং আর্টেরও। এটা থেকই মনে হয় আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কাজ কেন করবনা? তারপরেই ধানবাদ ব্লুজ তৈরি হয়।

আমরা কি দর্শককে কোথাও ছোট করে দেখছি?

সেটা একভাবে দেখতে গেলে ভয়। আবার এতে চ্যালেঞ্জও বেড়ে যায়। যে লোকটি নারকোস দেখছে সে বাংলা কনটেন্ট দেখতে চায়। আমি বাধ্য সে জায়গায় পৌঁছতে যাতে তার মনে না হয় এটা আঞ্চলিক কাজ এর থেকে বেশি কি হবে।
কিন্তু এরজন্য ব্যাকআপটা শক্ত হওয়া দরকার।

publive-image শুটিংয়ে সৌরভ চক্রবর্তী শট বোঝাচ্ছেন অভিনেতাদের। ফোটো- হইচই

কিন্তু এরজন্য ব্যাকআপটা শক্ত হওয়া দরকার।

অর্থনৈতিকভাবে বলতে গেলে ধানবাদ ব্লুজ অনেকটা বাজেটেরই ওয়েব সিরিজ। আবার ততটাও না যেটা পর্দায় দেখে মনে হবে। এখনও পর্যন্ত ওয়েব প্ল্যাটফর্ম কতখানি লাভজনক হবে সবটাই ধারনা করছি আমরা। ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্ম ওয়েবের দিকেই ঝুঁকবেই।

ধানবাদের খাদানে শুট করা কতটা ঝুঁকির ছিল?

এই সিরিজ শুট করতে গিয়ে অনেক থ্রিল হয়েছে। একই খাদানে তিনবার শুট করতে গিয়েছি। থাকার ঠিকমতো থাকার জায়গা নেই। খুবই রুক্ষ পরিবেশ। বিশেষত, ঝরিয়া পুরো খাদানটাই দাউ দাউ করে জ্বলে মিথেন গ্যাসের জন্য। গোটা ঝরিয়াই ধ্বসে পড়তে পারে। শুটিং তো অনেক দূরের কথা। ঝরিয়ার ঠিক পাশের এলাকাটাই হল ওয়াশিপুর। সেটা নতুন করে আমায় আর চিনিয়ে দিতে হবেনা (হাসি)।

সামনে ফিচার ছবি বানাতে পারেন সৌরভ চক্রবর্তী। সম্ভবনার কথা বললেন নিজেই। জাপানি টয় টু ও পিটিভ্যালি নামে দুটো ওয়েব সিরিজ আসছে তার। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে হইচইয়ে স্ট্রিমিং হবে ধানবাদ ব্লুজ।

hoichoi
Advertisment