রবিবার বিকেল। শিবাজি পার্কে শায়িত সুরসম্রাজ্ঞীর মরদেহ। লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) শেষকৃত্যে বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিক দুনিয়ার ব্যক্তিত্বরা সেদিন সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যেমন রাজধানী থেকে তড়িঘড়ি মুম্বই উড়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তেমনই ছেলেকে নিয়ে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। হাজির ছিলেন শরদ পাওয়ার, নীতিন গড়কড়ির মতো ব্যক্তিত্বরাও। বাদ থাকেনি বিনোদনজগৎও। শাহরুখ খান, আমির খান, রণবীর কাপুর থেকে বিদ্যা বালন, জাভেদ আখতাররাও পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রিয় লতাদিদির শেষকৃত্যে যোগ দিতে। কিন্তু তিন-তিনবার চেষ্টা করেও যেতে পারেননি ধর্মেন্দ্র (Dharmendra)।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়াণ অভিনেতা জানান, "তিনি আসলে লতা মঙ্গেশকরকে ওই অবস্থায় দেখার সাহস জোগাতে পারেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্র জানান, তিনি বার যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরতে বেরতে পারিনি। ওঁর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারিনি। যখন থেকে খবরটা শুনেছি খুব অস্বস্তি, অসহায় লাগছিল। "
তিনি আরও বলেন, "লতাদিদির সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। এমনকী, খুব সম্প্রতিও কথাও হয়েছিল। মনে আছে, আমার একটা টুইট দেখেই তড়িঘড়ি কীভাবে আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিলেন যে, আমি ভাল ঠিক আছি কিনা? সেদিন আমার মন ভাল করার জন্য আধঘণ্টা ফোনে কথা বলেন লতাদিদি।"
<আরও পড়ুন: ‘নেতাদের সম্মান করুন’, এবার কঙ্গনাকে ‘শিষ্টাচার’ শেখালেন বিজেপি সাংসদ>
প্রসঙ্গত, সাত-আটের দশকে ধর্মেন্দ্র এবং স্ত্রী অভিনেত্রী হেমা মালিনির সঙ্গেও অনেক ছবিতে কাজ করেছেন লতা মঙ্গেশকর। 'সাথিয়া নহি জানা কে জি না লাগে', 'কাল কি হাসিন মুলাকাত কে লিয়ে', 'গির গ্যায়া ঝুমকা গিরনে দো' থেকে 'ঝিলমিল সিতারো কা আঙ্গন হোগা'র মতো একাধিক ধর্মেন্দ্র অভিনীত ছবির জন্য গান গেয়েছেন কোকিলকণ্ঠী লতা। সেই মানুষটিই যখন চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন, শোকস্তব্ধ ধর্মেন্দ্র টুইট করে লিখেছিলেন, "গোটা বিশ্ব আজকে দুঃখিত। উনি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমরা আপনাকে মিস করব লতাজি। ঈশ্বরের কাছে আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন