Dia Mirza-Bollywood: ২০০০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিকের খেতাব জেতা থেকে শুরু করে ইব্রাহিম আলি খানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিয়া মির্জা। তিনি প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে সিনে জগতে পা রেখেছিলেন, ২০০১ সালে গৌতম বাসুদেব মেননের 'রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে' দিয়ে। তিনি সম্প্রতি মুখ খুলেছেন যে কীভাবে একজন শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী হওয়া তারপক্ষে সুবিধাদায়ক বটেই, তবে অনেক উদ্বেগও ছিল।
২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও লারা দত্তের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দিয়া। দিয়া প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেনের সাথেও তার প্রথম দিকের একটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন। পঙ্কজ পরাশরের তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে (২০০২), যেটিতে সালমান খান প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। দিয়া স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে যেহেতু সালমান একজন বিশাল তারকা ছিলেন, তাই তাকে প্রায়শই লোকেশন থেকে পালাতে হত, কারণ প্রচুর ভিড় হত।
তবে, এই ইন্ডাস্ট্রির বুকে উদ্বেগ ছিল মারাত্মক। নিজের সুরক্ষা নিয়েই এবার আওয়াজ তুলেছেন দিয়া। তিনি বলছেন, "আমি অনেকটা দীর্ঘ সময়ের জন্য নিরাপদ বোধ করিনি। আমি সবসময় আমার হেয়ারড্রেসারকে আমার সাথে ঘরে থাকতে বলতাম। কারণ আমি আমার দরজায় কোনও অপ্রত্যাশিত ডাক বা অতিথি চাইনি। কিন্তু আমি জানি, আমার সহকর্মীরা তাদের দরজায় কড়া নাড়বে।" তিনি তার নিরাপত্তার জন্য একটি জনপ্রিয় সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা বিজয়ী হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন।
তাঁর কথায়, "মজার ব্যাপার এবং সৌভাগ্যক্রমে, আমার এই সমস্যাগুলির কোনওটিই ছিল না। তবে আমি অত্যন্ত সচেতন যে আমি যদি আন্তর্জাতিক সৌন্দর্যের শিরোপাধারী না হতাম এবং আমি মিডিয়ার সমর্থন না পেতাম...আমরা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসি তখন আমরা ঘরে ঘরে পরিচিত নাম ছিলাম। সবাই কথা বলত আমাদের নিয়ে। তবে জানি না কতটা নিরাপত্তা ছিল.."
দিয়া স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে সেটে সুরক্ষাই একমাত্র সমস্যা নয়। তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অনেক ওয়ার্কশপ করার পর ফিরে এসেছিলেন দারুণ সব রোলে। অভিনেত্রী বলেন, "আমি ভেবেছিলাম আমাকে কেবল পণ্যায়িত করা হচ্ছে এবং যৌন করা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত ছিলাম না সেসব বিষয়ে। আমি এমন গল্প বলার অংশ হতে চাই যার সারমর্ম রয়েছে। আমি সিনেমার অংশ হতে চেয়েছিলাম। ভাল সিনেমার। কিন্তু, এসব থেকে পিছিয়ে যাওয়া, নিজেকে সরিয়ে নেওয়া সমস্ত লিড চরিত্রে না বলার একটা গাটস লাগে। এবং আমি সেটা করেছি। প্রথমে অনেক ফোন আসত। তারপর দেখলাম ফোন না ধরায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেল।