বৃহস্পতিবার আচমকাই এল খারাপ খবর। চলে গেলেন কিংবদন্তি পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। সত্তর ও আশিরদশকের হিন্দি সিনেমায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। একের পর এক ছবির বলে দিয়েছে পুরনো রাস্তায় না হেঁটে নতুন পথ তৈরিরে বদ্ধ পরিকর বাসু চট্টোপাধ্যায়। এদিন তাঁর স্মৃতিতে রইল পরিচালকের দশটি ছবির তালিকা। না দেখে থাকলে একবার দেখতে পারেন-
পিয়া কা ঘর (১৯৭২)
একদম ঘরোয়া ছবি বলতে যা বোঝায় ১৯৭২ সালে রিলিজ হওয়া বাসু চট্টোপাধ্যায়ের পিয়া কা ঘর একেবারেই সেইরকম। সম্পূর্ণ ফ্যামিলি ড্রামা। ছবিতে রয়েছেন অনিল ধাওয়ান, জয়া বচ্চন। এই গল্পের মুখ্য চরিত্র ছিলেন জয়া। ভারতের একটি ছোট শহরের বড়বাড়ির মেয়ে ছিলেন জয়া। মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন। পরবর্তীতে এমন একজনের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন যার জীবনযাপন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
রজনীগন্ধা (১৯৭৪)
একেবারে রোম্যান্টিক ড্রামা ছবি রজনীগন্ধা। এই ছবির মুখ্য চরিত্ররা হলেন বিদ্যা সিনহা, অমল পালেকর এবং দীনেশ ঠাকুর। দিল্লিবাসী এক মেয়ের জীবন নিয়ে এই গল্প আবর্তিত হয়েছে। সেখানে তাঁর একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কও ছিল। কিন্তু কাজের সূত্রে মুম্বাই চলে যেতে হয় তাঁকে। এরপর জীবনে ঘটতে থাকে বহু ঘটনা।
আরও পড়ুন, বাসু চ্যাটার্জি আমাদের মত চরিত্রের জন্ম দিয়েছিলেন
উস-পার (১৯৭৪)
এই ছবিতে অবশ্য রোমান্স এবং ফ্যামিলি ড্রামা দুইই রেখেছেন পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বিনোদ মেহরা, মৌসুমি চট্টোপাধ্যায় এবং পদ্মা খান্না। এই ছবির গল্প মোহন এবং কমলির। যারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কমলি অপেক্ষা করে থাকলেও মোহন আসেননি।
ছোটি সি বাত (১৯৭৬)
অশোক কুমার, বিদ্যা সিনহা, অমল পালেকর অভিনীত ছোটি সি বাত একটি আদ্যপান্ত রোমান্টিক কমেডি। এই গল্পে অরুণ একজন অ্যাকাউন্ট। যিনি অফিসের সহকর্মী প্রভাকে পছন্দ করেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁকে বলে উঠতে পারেনি। কিন্তু অরুণের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে আসে নাগেশ। এদিকে প্রভাও মিস করতে থাকে অরুণকে।
শওকিন (১৯৮২)
শওকিন সম্পূর্ণ কমেডি ড্রামা। এই ছবিতে ছিলেন আশোক কুমার, এ কে হাঙ্গাল, উৎপল দত্তের মত অভিনেতারা। এখানে গল্প তিন বন্ধুর। ষাটের দশকের বন্ধুত্ব যেমন হয় আর কি। যা যা করা হয়নি মৃত্যুর আগে সেটাই করতে চান তিন জন।
হামারি বঁধু অলকা (১৯৮২)
বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি একটি ফ্যামিলি ড্রামা। গল্প এগোয় কলেজে পড়া প্রতাপচন্দ। যিনি থাকেন বাবা বদ্রিপ্রসাদ। তিনি নিজে বিল্ডিং কন্ট্রাক্টর।
আরও পড়ুন, চলচ্চিত্র পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান
চামেলি কি শাদি (১৯৮৬)
এই ছবি রোমান্টিক-কমেডি-ড্রামা। এই ছবিতে রয়েছেন অনিল কাপুর, অমৃতা সিং এবং ওম প্রকাশের মত অভিনেতারা। গরীব ঘর থেকে ওঠা একটি ছেলের গল্প, যে কুস্তিগীর হতে চায়।
এক রুকা হুওয়া ফ্যায়সলা (১৯৮৬)
দীপক কেজরিওয়াল, অমিতাব শ্রীবাস্তব, পঙ্কজ কাপুরের মতো অভিনেতারা রয়েছেন এই ছবিতে। একটি মার্ডার ট্রায়ালের উপর ঘটনা আবর্তিত হয়েছে। পরবর্তীতে নিজের ভাগ্য নিয়েই নিজের ভাগ্য তৈরি করতে চান।
কমলা কি মত ( ১৯৮৯)
এই প্রথম একটি থ্রিলার মিস্টেরি ড্রামা বানান বাসু চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিতে ডিম্পল অরোরা, রাধা আসরানিরা। গল্প এগোয় একটি খুনকে কেন্দ্র করে। কমলা ঠাকুর যিনি ভাস্করকে বিয়ে করেন এবং পরবর্তীতে নিজেকে ৫ তলা বাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন। এরপর সুইসাইডটি নিয়েই তৈরি হয় ঘটনা।
মন পসন্দ (১৯৮০)
এই ছবিতে থাকে দেব আনন্দ, টিনা আম্বানি এবং গিরিশ কারনাডের মতো অভিনেতারা। কমেডি ড্রামার এই মন পসন্দ সকলেরই মন পছন্দের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন