Dilip Kumar-Madhubala Broke up: দিলীপ কুমার -মধুবালার কালজয়ী সিনেমা মুঘল-ই-আজমের সেই অন স্ক্রিন রোম্যান্স আজও লোকমুখে ফেরে। পর্দার প্রেম গড়িয়েছিল বাস্তবেও। বলিউডের প্রথম অরিজিনাল পাওয়ার কাপল হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিলেন দিলীপ কুমার-মধুবালা। পাঁচের দশকের ট্যাবলয়েডে জায়গা করে নিয়েছিল প্রাক্তন দুই সুপারস্টারের প্রেমকাহিনি। দিলীপ কুমার এবং মধুবালার অসম্পূর্ণ প্রেম ছিল বলিউডের অন্যতম সেরা 'ট্র্যাজেডি'। দুই সুপারস্টারের বিচ্ছেদের নেপথ্যে রয়েছে Naya Daur ছবিকে ঘিরে আইনি জটিলতা। দীর্ঘদিন এটাই বিশ্বাস করে এসেছেন প্রাক্তন প্রেমিকজুটির ভক্তরা। কারণ প্রয়াত অভিনেত্রী মধুবালার বোন এক সাক্ষাৎকারে সেই বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে এই যুক্তিই খাড়া করেছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ দিলীপ-মধুবালার প্রেম ভাঙার প্রকৃত কারণ খোলসা করলেন। আসলে মধুবালার কোনওদিন দিলীপকুমারকে পিতৃসুখ দিতে পারবেন না বলেই তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ছিলেন বলিউডের ট্রাজিডি কিং দিলীপ কুমার।
Vickey Lalwani-এর চ্যাট শোয়ের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুমুতাজ। দিলীপ-মধুবালার প্রেম-বিরহ প্রসঙ্গে বলেন, 'মধুবালা কিন্তু সম্পর্কে ইতি টানেননি। দিলীপ কুমারই সম্পর্কটা ভেঙেছিলেন। কারণ মধুবালার কোনও সন্তান ছিল না। পরে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন। উনি যে ভীষণ ভাল মানুষ সে কথা বলার অবকাশই রাখে না। দিলীপের জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ওঁর খেয়াল রেখেছেন। দুজনের বয়সের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলেও প্রেম ছিল অটুট। উনি দিলীপ কুমারের প্রকৃত ভক্ত ছিলেন। প্রেম যেখানে সত্য সেখানে কোনও কিছুই বাধা নয়।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/bde39795-f64.jpg)
তিনি আরও যোগ করেন, 'মধুবালা যে দিলীপ সাবকে মন থেকে ভালবাসতেন সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। কিন্তু, দিলীপ সাব সন্তান চেয়েছিলেন। সেই জন্যই সায়রা বানুর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলেন। এই কথাটা মধুবালা নিজেই আমাকে বলেছিলেন। আমি সেই সময় ওঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম কিন্তু, অসুস্থ ছিলেন। তবুও আমাকে বলেছিলেন, 'আমার জীবনের প্রকৃত প্রেম ইউসুফ। চিকিৎসকরা বলে দিয়েছে সন্তান প্রসবের সময় আমার মৃত্যু হবে। কারণ আমি হৃদরোগে আক্রান্ত।'
তবুও মধুবালা কোনওদিন দিলীপ কুমারের প্রতি কোনও ক্ষোভপ্রকাশ করেননি। কারণ মধুবালা বুঝেছিলেন প্রত্যেক পুরুষই সন্তান চায়। কিন্তু, সায়রা বানুরও কোল শূন্য! এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা। প্রসঙ্গত, হাজারো পুরুষের কাঙ্খিত নারী ছিলেন মধুবালা। অপরূপ সৌন্দর্য, মায়াবী হাসি আর সংবেদনশীল অভিনয়ে মুগ্ধ ছিল কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী। শেষ জীবনেও ভালোবাসার কাঙালই থেকে গিয়েছেন তিনি। ট্র্যাজেডি-তে ভরপুর মধুবালার জীবন যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়! আমৃত্যু কিংবদন্তী শিল্পী কিশোর কুমারেক দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তবে দিলীপের সঙ্গে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক ভাঙলেও প্রাক্তন প্রেমিকার শেষযাত্রায় দিলীপ কুমার এসেছিলেন, মধুবালার বোনই এক সাক্ষাৎকারে সেই গোপন কথা ফাঁস করেছিলেন।
আরও পড়ুন হাউহাউ করে কেঁদে নেপোকিডদের তুলোধনা, বলিউড নিয়ে ইরফান পুত্রের বিস্ফোরক ভিডিও ভাইরাল হতেই কী সাফাই পরিবারের?