দিলজিৎ কলকাতায় এসেই যেন নিজেকে আর পাঁচজনের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছিলেন। কাউকে ভালবেসে দিলেন ফুল, কারওর সঙ্গে তুললেন সেলফি। শুধু তাই নয়, শহরের প্রতিটা কোনায় তিনি এভাবে মিশে গেলেন যেন, তিনি আদ্যোপান্ত একজন বাঙালি। সর্দারজ্বি কলকাতা কনসার্টে তাঁর বাংলা সম্পর্কে কতটা জ্ঞান, সেকথাই জানালেন।
গায়ক, সারা দেশ জুড়ে অনুষ্ঠান করে বেড়াচ্ছেন। গতকাল কলকাতকে নিজের সুরের জাদুতে ভাসিয়েছেন। তাঁর শো মানেই তিনি দর্শকের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথপোকথন জারি রাখবেন, একথা পরিষ্কার। আর হলোও তাই। কলকাতা সিটি অফ জয় নামেও পরিচিত। আর সেই শহরে এসে তাঁর সুখ অনুভূত হবে না এও আবার হয় নাকি? শিল্পীকে দেখা শাহরুখ খান থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্স সব নিয়েই বলতে।
কলকাতা মানেই KKR, আর তার সঙ্গে শাহরুখ ভক্ত দিলজিতের কাছে করব লড়ব জিতব রে, এই লাইনটা ঠিক কী অর্থ রাখে, সেকথাও তিনি জানিয়ে দিলেন। কিন্তু, একজন সর্দার, যিনি নানক প্রেমে মশগুল, তিনি যে এভাবে বাংলার সঙ্গে সুন্দর একটি মধুর গল্প ভাগ করে নেবেন এটা যে জানত? বাংলা আর বাঙালি মানেই সংস্কৃতি থেকে রাজনীতি এমনকি এই বাংলায় জন্ম নিয়েছেন বিখ্যাত সব মনীষীরা। যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংস এমনকি স্বামী বিবেকানন্দের নাম সারা দেশ তথা সারা বিশ্ব জানে। আর কলকাতায় এসেই দিলজিৎ জুড়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ও গুরু নানককে।
দিলজিৎকে বলতে শোনা গেল... "কলকাতাকে তো সিটি অফ জয় নামেও ডাকা হয় না। আপনাদের কত সৌভাগ্য, আপনাদের এখানে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রবি ঠাকুরকে নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই। আমি একটা জায়গায় পড়ছিলাম, উনাকে কেউ একজন বলছিলেন যে আপনি জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন, তাহলে আপনি বিশ্বের সঙ্গীত লিখুন। উনার উত্তরটা খুব মিষ্টি ছিল। উনি বলেছিলেন, সেটা তো ১৫ শতকে গুরু নানক দেব জি লিখে গিয়েছেন। আমি অনুরোধ করব সকলকে আপনারা পড়ুন, গুরু নানক দেব যে ওয়ার্ল্ড এন্থেম লিখেছেন।"
উল্লেখ্য, দিলজিৎ কলকাতায় এসেই, গিয়েছিলেন দক্ষিণেশ্বরে। সেখানে রামকৃষ্ণ দেবের ঘরের বাইরে তিনি একমনে ধ্যান করেন। আর গতকাল কনসার্ট চলাকালীন যা যা বলেন, তাতে আরও মন কেড়ে নিয়েছেন বাংলার মানুষদের।