Diljit Dosanjh: পরনে নোংরা একটা কুর্তা এবং পাজামা, মাটিতে এক পাশে বসে রয়েছেন দিলজিত। মাথায় কাপড় দিয়ে পাগড়ি স্বরূপ বাধা। অভিনেতা চোখে মুখে লেগে আছে রক্ত। হলো টা কি তার? দিব্যি তো ট্যুর করছিলেন, তার মধ্যে এসব আবার কি?
বেশ কিছু মাস ধরে দিলজিৎ ব্যস্ত তাঁর সংগীত সফরে ( Dil LUMINATI TOUR )। বিদেশের পালা শেষ করে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। দেশের নানান জায়গায় তাকে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে। মুম্বাই থেকে কলকাতা ইন্দোর থেকে গুয়াহাটি, সব জায়গাতেই সুরের জাদু ছড়িয়েছেন তিনি। যদিও বা একসময়, ভারতের বুকে কনসার্ট করতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া জানিয়েছিলেন যে তিনি আর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং কিছু লজিক না মানলে এই দেশে কনসার্ট করবেন না।
কিন্তু বছরের শুরুতেই অভিনেতাকে এইভাবে দেখে চমকে যেতে হয়। এক চোখ ফোলা। জমাট বেধে আছে গোটা মুখে রক্ত। তার সঙ্গে বেশ বড় দাঁড়ি। গায়ক এবং অভিনেতার ( Diljit Dosanjh ) এরকম চেহারা দেখে চমকে গেলেও, বুঝতে হবে তিনি কোনরকম ভায়োলেন্সে শিকার নন। নোংরা পাঞ্জাবির সঙ্গে একটা পুরনো এবং ছেঁড়াফাটা কম্বল গায়ে দিয়ে রয়েছেন তিনি। আসলে অভিনেতা নিজের পরবর্তী ছবির ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন।
ছবির নাম, পাঞ্জাব ৯৫। এবং এই ছবিগুলি শেয়ার করে দিলজিৎ লিখছেন, আমি অন্ধকারকেও চ্যালেঞ্জ করতে জানি। এই ছবিতে পঞ্জাবের এক এমন শহীদকে তিনি গোটা দেশবাসীর সঙ্গে পরিচয় করাবেন, যাকে কেউ কেউ চেনেন এবং অনেকেই চেনেন না। যশঅন্ত সিং খালরার বায়োপিক এই ছবি। এই ছবি বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। কারণ ফিল্ম সার্টিফিকেসন বোর্ড এই ছবিটা কিছু কারণে আটকে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম জলঘোলা হয়ে ছবির নাম নিয়ে। অন্তত, ৮৫ থেকে ১২০টি শট কাটা হয়েছে।
খালরার স্ত্রী পরমজিৎ কৌর খালরা সেন্সর বোর্ডের দাবির নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, যে তার স্বামীর জীবনের উপর বায়োপিকটি পরিবারের সম্মতিতে তৈরি করা হয়েছিল এবং কোনও কাটছাঁট ছাড়াই মুক্তি দেওয়া উচিত। খলরা ৯০ এর দশকের শেষের দিকে জঙ্গিবাদের সময় পাঞ্জাব পুলিশের শিখ যুবকদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি নিজেই ১৯৯৫ সালে অপহৃত হন এবং খুন হন। পরে তাকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ছয়জন পাঞ্জাব পুলিশ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।