"কার কোথায় গিয়ে পাঁপড় ভাজতে ইচ্ছে করে, সে ভাজুক", তৃণমূলে যোগ দিয়েই রুদ্রনীল ঘোষকে (Rudranil Ghosh) কটাক্ষ অভিনেতা দীপঙ্কর দে'র (Dipankar Dey)। বিগত একমাস ধরে চলতে থাকা নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিন একদা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটিয়ে ঘাসফুলের 'স্টার ক্যান্ডিডেট' এখন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচার করবেন। সেই প্রেক্ষিতেই দীপঙ্কর দে'র এমন মন্তব্য রুদ্রনীল ঘোষ প্রসঙ্গে।
বিজেপিতে নাম লেখানোর পর থেকেই অভিনেতা রুদ্রনীলকে কম 'খোরাক' হতে হচ্ছে না নেটদুনিয়ায়! একসময়কার বামপন্থী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি কীভাবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ পাল্টেছেন, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে বসেছেন নেটজনতার একাংশ। পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পরদিনই ডুমুরজলার সভায় অভিনেতা প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন যে, তৃণমূলে থেকে কাজ করতে পারছিলেন না, তাই মানুষের স্বার্থে, জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে এবার আরও বৃহত্তর রাজনৈতিক ময়দানে নামলেন তিনি। তাঁর তৃণমূল অধ্যায়ের এই 'তিক্ত অভিজ্ঞতা' শুনে অনেকেই সন্দিহান। যা রীতিমতো এই মুহূর্তে চর্চিতও বটে!
সেই প্রেক্ষিতেই ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার পর দীপঙ্কর দে'র উদ্দেশে শুক্রবার প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছিল যে, রুদ্রনীল দল-বদল করার পর তৃণমূল প্রসঙ্গে ভিন্ন সমালোচনা করেছেন, তাতে দীপঙ্করের কী মত? সেই প্রশ্ন শুনেই ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ অভিনেতার বক্তব্য, "কার কোথায় গিয়ে পাঁপড় ভাজতে ইচ্ছে করে, সেটা তো আমাদের দায় নয়। গেছে পাঁপড় ভাজতে। ভাজুক।"
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর উপস্থিতিতেই ইন্ডাস্ট্রির ডাকসাইটে অভিনেতা দীপঙ্কর হাতে তুলে নেন ঘাসফুলের সবুজ পতাকা। তারপরই সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে ক্ষোভ উগরে দেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে।