হাসপাতালে রিপোর্ট আনতে গিয়েই অভিনেত্রী জানতে পারেন স্বামী শোয়েব আগে থেকে অনেক কিছু জানতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে দীপিকাকে তিনি কিছুই জানাননি। অভিনেত্রীর কথায়, আমি শোয়েব কে রেজাল্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি...
হাসপাতালে রিপোর্ট আনতে গিয়েই অভিনেত্রী জানতে পারেন স্বামী শোয়েব আগে থেকে অনেক কিছু জানতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে দীপিকাকে তিনি কিছুই জানাননি। অভিনেত্রীর কথায়, আমি শোয়েব কে রেজাল্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি...
Actress Health Update: টানা ১৪ ঘণ্টার বিরাট অপারেশন সঙ্গে, জীবন মরণ লড়াই.. অভিনেত্রীর যেদিন ক্যান্সার যুক্ত টিউমার অপারেট করা হচ্ছে, সেদিন থেকে দারুণ চিন্তায় ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, এত বড় অপারেশন যাতে সফল হয় দীপিকার স্বামী সকলকে বলেছিলেন, যেন সঠিকভাবে হয় সবকিছু তাঁর জন্য প্রার্থনা করুন। তারপর, নানা শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু, সবকিছুকে জয় করে নিয়ে আপাতত তিনি ভাল আছেন। এবং টানা ১১ দিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন।
Advertisment
অবশেষে দীপিকা সে প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন। এত বড় অপারেশন এবং শরীরে মারণ রোগ বাসা বেধেছে শুনে তার অনুভূতি কেমন হয়েছিল, সে প্রসঙ্গে সড়ক অভিনেত্রী। ছেলেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়েছিল এবং তার স্বামীর থেকেও বেশ কিছুদিন দূরে থাকতে হয় তাকে। কিন্তু যে ভালোবাসা এবং সম্মান এবং সহানুভূতি তিনি পেয়েছেন, সেটির সাংঘাতিক বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী। দীপিকা কে তার শেষ ব্লগে বলতে শোনা গেল...
সবাইকে পাশে পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমার পরিবার আমার ছেলে সকলেই আমার এত কাছে রয়েছে এখন, যে সবকিছুই ভালো লাগছে। আপনারা সকলে আমার জন্য যে প্রার্থনা করেছেন, কেউ আমার জন্য নামাজ পড়েছেন কেউ আমার জন্য পুজো করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আপনারা জানেন না এগুলো আমার কাছে কি অর্থ রাখে। এরপরে অভিনেত্রী জানান যেদিন প্রথম জানতে পেরেছিলেন টিউমার সম্পর্কে, সেদিন তার শারীরিক অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। যে মুহূর্তে তার শরীরে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের হদিশ মিলে ছিল সেই মুহূর্ত থেকে, ডাক্তার বলেছিলেন তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে। এবং এই কথা শুনে তার স্বামী শোয়েব হাসপাতালের করিডোরে এই প্রচন্ডভাবে ভেঙে পড়েন। কিন্তু মানসিকভাবে খুব প্রস্তুতি নিয়েছিলেন দীপিকা। যেদিন অপারেশন হবে তার আগের রাতে অভিনেত্রী মানসিকভাবে তো বটেই, ছেলের সামনে গিয়ে তিনি বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
দীপিকা বলছেন, "আমার ছেলেকে রাতারাতির স্তন্যপান করানো বন্ধ করতে হয়েছিল কারণ, অপারেশনের পর শরীরে এত ধরনের ওষুধ এবং মেডিকেশন চলবে সন্তানকে আমি স্তন্যপান করাতে পারবো না। আমি একটু ভয়ে ছিলাম চিকিৎসক বলেছেন অপারেশন টি বড় হতে চলেছে। পুরো মাসটা জুড়ে আমি প্রচুর কঠিন মুহূর্তের শিকার হয়েছি। কিন্তু আমার ছেলের থেকে দূরত্বটা আমাকে ভেঙ্গে দিয়েছিল। আমি প্রচন্ড কাঁদতাম। যখন আমি জানতে পারলাম যে আমার লিভারের টিউমারটা ক্যান্সার যুক্ত, আমি আমার ছেলেটাকে নিয়ে খুব অস্বস্তিতে ছিলাম।"
হাসপাতালে রিপোর্ট আনতে গিয়েই অভিনেত্রী জানতে পারেন স্বামী শোয়েব আগে থেকে অনেক কিছু জানতেন। কিন্তু সেই সম্পর্কে দীপিকাকে তিনি কিছুই জানাননি। অভিনেত্রীর কথায়, আমি শোয়েব কে রেজাল্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং সে বলে যে সবকিছু মোটেই ঠিকঠাক নেই। আমি নিজের চোখে যখন সেটা দেখলাম এবং বুঝতে পারলাম, দুজনেই করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না আমরা কি করব। ক্যান্সার শব্দটা মানুষের মনে ভয় তৈরি করে। আমাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছিল। আমি দাঁড়িয়ে থেকে শক্ত হয়ে শোয়েবকে জড়িয়ে ধরলাম।" যদিও বর্তমানে অভিনেত্রী বাড়িতে সকলের সঙ্গেই ভালো আছেন। এবং তার অত্যন্ত সুন্দর অপারেশন এবং ট্রিটমেন্টের জন্য ডাক্তারদের দলকেও তিনি শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন।