অসুস্থ বাংলা সিনেইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ পরিচালক প্রভাত রায়। ভর্তি হাসপাতালে। আক্ষেপের সুরে একাধিকবার বলেছেন, "ইন্ডাস্ট্রির কেউ এখন আর তাঁর খোঁজ নেন না.."। তবে পরিচালকের এই দুঃসময়ে তাঁকে ভুলে যাননি তাঁর 'লাঠি' নায়ক। হাসপাতালে গিয়ে প্রভাত রায়ের সঙ্গে দেখা করে এলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডাস্ট্রির লাইমলাইট থেকে সচরাচর দূরে থাকতেই পছন্দ করেন ভিক্টর। শহুরে কোলাহল, হই হট্টগোল তাঁর না-পসন্দ। তাই পাহাড়েই নিভৃতে বাস করেন। তবে 'প্রভাতদা'র অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে এলেন শত ব্যস্ততার মাঝে। প্রবীণ পরিচালকও খুশি। কলকাতার সিনেপাড়ার কেউ সেভাবে খোঁজ না নিক, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে এলেন। তাই শারীরিক কষ্টের মাঝেও হাসিমুখে সেই মুহূর্তে ফ্রেমবন্দি করতে ভুললেন না প্রভাত। সেই ছবি নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করলেন।
কী হয়েছে প্রভাত রায়ের? ফোনে যোগাযোগ করা হলে শারীরিক পরিস্থিতির জন্য তিনি নিরুত্তর। জানা গেল, রক্তচ্চাপ বেড়ে যাওয়ায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রভাত। খবর পেয়ে ইন্ডাস্ট্রির দুই পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী ও হরনাথ চক্রবর্তীরাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
<আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ! মাতৃহারা হলেন অপরাজিতা আঢ্য, শোকাতুর অভিনেত্রী>
বাইশের এপ্রিল মাসের কথা। স্ত্রী, চিরসঙ্গী জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। নিঃসন্তান দম্পতি একে-অপরকে আগলে রাখতেন সবসময়ে। তবে জয়শ্রী পরপারে চলে যাওয়ার পর থেকেই একেবারে একা হয়ে যান প্রভাত। একসময়ে যেখানে টলিপাড়ার এই প্রবাদপ্রতীম পরিচালকের বাড়িতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আনাগোনা লেগেই থাকত। যাঁর হাত ধরে তাঁরা আজকের তারকা হয়ে উঠেছেন, সেই মানুষগুলোই এখন আর কেউ খোঁজ নেন না প্রভাত রায়ের। আক্ষেপের সুরে নিজেই বলেছিলেন অভিমানী পরিচালক।
স্ত্রী জয়শ্রী চলে যাওয়ার পর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, টোটা রায়চৌধুরিরা বাড়ি গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন প্রভাতের সঙ্গে। পারলৌকিক ক্রিয়ায় নিজেই চলে যান রঞ্জিৎ মল্লিক। সায়ন্তিকা একাধিকবার ফোন করে খোঁজ নেন সেসময়ে। তবে জিৎ-প্রসেনজিৎরা কেউ আসেননি। খুব দুঃখ করে জানিয়েছিলেন প্রভাত রায়। আজ সেই পরিচালকই হাসপাতালের বিছানায়।