এপ্রিল মাসেই স্ত্রী জয়শ্রীকে হারিয়েছেন প্রভাত রায় (Prabhat Roy)। নিঃসন্তান দম্পতি একে-অপরকে আগতে রাখতেন সবসময়ে। তবে স্ত্রীয়ের আকস্মিক প্রয়াণের পর থেকে একেবারে একলা হয়ে যান পরিচালক। একসময়ে যেখানে টলিপাড়ার প্রবাদপ্রতীম পরিচালকের বাড়িতে আনাগোনা লেগেই থাকত অভিনেতা, অভিনেত্রীদের। যাঁর হাত ধরে আজ তাঁরা তারকা হয়ে উঠেছেন, সেই মানুষগুলোই এখন আর কোনও খোঁজ নেন না প্রভাতের। আক্ষেপের সুরে নিজেই বললেন পরিচালক।
টলিউডের আজকের একঝাঁক তারকাকে সিনেমায় লঞ্চ করিয়েছিলেন প্রভাত রায়ই। অথচ তাঁর স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর কেউ খোঁজটা পর্যন্ত নিলেন না! অভিমানে মুখ খুললেন পরিচালক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরত্বটাও বেড়েছে, এখন আর তেমন কাজ করেন না প্রভাত রায়। তাই বলে কি মানুষটাকে ভুলেই যাবেন সকলে? প্রশ্ন অভিমানী পরিচালকের।
প্রভাত রায়ের মন্তব্য, "আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলেমেয়েকে সিনেমায় সুযোগ করে দিয়েছি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, টোটা রায়চৌধুরি থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তার মধ্যে তিনজন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয় না।"
<আরও পড়ুন: প্রভাত রায়ের জন্য বিনা পয়সায় গান গেয়েছিলেন খোদ লতা মঙ্গেশকর>
পরিচালকের অভিমান অবশ্য আরও হয়েছে কারণ, স্ত্রী জয়শ্রীর পারলৌকিক ক্রিয়ায় পর্যন্ত কেউ আসেননি। তাঁর মন্তব্য, "সবাই বউদি বউদি করত। কিন্তু সে মারা যাওযার পর কেউ খবর নিতেও আসেনি। প্রসেনজিৎ আসবে বলেও আসেনি। জিৎকে জানিয়েছিলাম, সেও আসেনি। এটাই আমার খারাপ লাগার কারণ। অথচ যে মানুষটাকে বলিনি, সেই রঞ্জিৎদা কিন্তু পারলৌকিক ক্রিয়ায় এসেছিলেন। ঋতুপর্ণা আর টোটা বাড়ি এসে দেখা করে গেছে। সায়ন্তিকা বারবার ফোন করে খবর নিয়েছে। কিন্তু আর কেউ এলো না। বউদি এত স্নেহ করত সকলকে, কেউ মনে রাখল না তাঁকে।"
পরিচালকের এমন মন্তব্য শুনে কবীর সুমন বলেন, "বন্ধু প্রভাত, তুমি এই অধমকেও সুযোগ দিয়েছিলে সেদিন চৈত্র মাস ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করার। আমায় সম্মান দিয়েছিলে। এসো আবার একসঙ্গে কাজ করি। এবারে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখাই। তুমি যখন বলবে, আমি তৈরি।"