CPR দিলে হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন শিল্পী KK, এমনটাই দাবি চিকিৎসকদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন KK, যা সুরাহা হয়নি। সেই সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যার কারণে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধও খেতেন তিনি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, KK-র বাঁদিকের ধমণীতে ৮০ শতাংশ ব্লকেজ দেখা গেছে। পাশাপাশি অন্যান্য ধমনীতেও ধরা পড়েছে ব্লকেজ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শো চলাকালীন স্টেজের মধ্যেই গরমে গানের সঙ্গে নাচছিলেন তিনি। এর ফলে অত্যাধিক উত্তেজনার তৈরি হয়। দেহে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিল্পীর। অবিলম্বে সিপিআর দিলে শিল্পীকে বাঁচানো যেত বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
<আরও পড়ুন বিশৃঙ্খলাই KK-র মৃত্যুর কারণ? চিকিৎসক কুণাল সরকারের পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক>
গাড়ি করে ফেরার পথেই শিল্পী বার বার বলছিলেন, ''আমার সাংঘাতিক ঠান্ডা লাগছে। গাড়ির এসি বন্ধ করো।'' একথা জানিয়েছেন স্বয়ং তাঁর ম্যানেজার রীতেশ ভাট। অথচ প্রকাশ্যে আসা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে শো চলাকালীন মারাত্মক ঘামছেন কেকে। বারবার তোয়ালেতে মুখ মুছছেন। ছায়াসঙ্গী ম্যানেজার বলেন, গাড়িতে উঠতেই মারাত্মক হাতে-পায়ে ক্র্যাম্প ধরে কেকে-র।
এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে গাড়ি থেকে নেমে নিজের পায়ে ভাল করে দাঁড়াতেও পারছিলেন না তিনি। কিন্তু তা-ও হোটেলে লবিতে অপেক্ষা করে থাকা অনুরাগীদের হতাশ করেননি। মাংসপেশিতে টান ধরার জন্য তাঁকে ধরে সোফায় বসানোর চেষ্টা করতেই তিনি পড়ে যান বলে জানিয়েছেন রীতেশ। পরে সেখানে বসে বমিও করে ফেলেন। এই তথ্যগুলির জেরেই মৃত্যু ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।