মানুষের প্রতিদিন মনোরঞ্জন করা একেবারেই সহজ কথা না। ঠিক তেমনই নায়িকা কিংবা অভিনেত্রী হওয়া একেবারেই সহজ না। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন পর্দায় নিজেকে একই দাপটের সঙ্গে প্রেজেন্ট করা! কত কিছু সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের?
টেলিভিশনের পর্দায় একের পর এক মেগা সিরিয়াল সম্প্রচারিত হয়। আর সেই সুবাদেই, অভিনয় করতে আসেন নানা মানুষ। কেউ কেউ রয়েছেন নিজের নাম তৈরি করে, বছরের পর বছর টিকে যান, আবার কেউ কেউ রয়েছেন অল্প দিনের জন্য পরিচিত লাভ করে হারিয়ে যান। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়া সহজ কথা না। তাঁর জন্য লাগে অধ্যবসায়, পরিশ্রম। ঠিক এমন একটি গল্প নিয়েই ডকু ফিকশন - 'লাইটস, ক্যামেরা মেগা'। প্রতিবছর, কত অভিনেত্রী আসেন, কেউ ব্যর্থ হন আবার কেউ জনপ্রিয়তা পান। তাঁদের জীবন যেন একেকটা অধ্যায়।
সেই গল্পের খোঁজ কেউ রাখে না। তাঁদের জীবন যাত্রা, যুদ্ধ জয়ের ন্যায় একেকটা অধ্যায়...সেই খবর আর কে রাখে। কেমন হতে চলেছে এই ডকু ফিকশন?
আরও পড়ুন - শিবুদা বলেছিলেন, নন্দিতা রায়ের চোখ ফাঁকি দেয় না : শ্রুতি দাস
রোড আইল্যান্ড কলেজের অধ্যাপিকা ডক্টর তন্বী চৌধুরীর পরিচালনায় রূপ পেতে চলেছে এই ফিকশনটি। গল্প বলা হবে সেসব মহিলা অভিনেত্রীদের যারা মুখ্য চরিত্রের বিপরীতে পার্শ্ব চরিত্রে নিজেদের ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রতিদিন লড়াই করেন, তাদের জীবনের নানা গল্প শোনানো হবে এতে। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকে যারা অভিনয় করছেন, তাদের মধ্যে LGBT কমিউনিটির অনেক মানুষ আছেন। তাদের এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেমন অভিজ্ঞতা বা কী প্রতিক্রিয়া, সেই গল্পও বলা হবে। শুধু তারাই নয়। একটি ধারাবাহিকের পেছনে থাকেন অনেক মানুষ। যারা কাস্টিং করেন, যারা নির্মাতা..তাদের অভিজ্ঞতার কথাও জানানো হবে এতে।
একজন মেয়ের সাধারণ থেকে অসাধারণ অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার গল্প..সাফল্য - ব্যর্থতা পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার যে অধ্যায়, সেটিই দেখানো হবে এতে। একটি ইন্ডাস্ট্রি কতশত মানুষের উপার্জনের সুযোগ। তাঁর সঙ্গেই নারী ক্ষমতায়ন থেকে সংসারের বিরোধিতা, সবটাই লিপিবধ করে এই তথ্যচিত্র। এর, পোস্টার লঞ্চের দিন উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায় ( Ananya Chatterjee ) থেকে পরিচালক পারমিতা মুন্সী, রূপান্তরকামী অভিনেতা অনিন্দ্য এবং প্রমুখ।