আন্তর্জাতিক বেড়াজাল টপকে অনেক আগেই মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারত তথা রাজ্যে। নিত্যদিন হু-হু করে বাড়ছে করোনায় (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্যবিদদের কপালে। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে দেশের একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে লকডাউন, নাউট কারফিউ। এমতাবস্থায় দর্শকরাও যে সিনেমাহলমুখো হবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। অতঃপর লক্ষ্মীর ভাঁড়ারেও টান পড়বে সেই প্রেক্ষিতে। আর সেই চিন্তা থেকেই ফের একবার মাল্টিপ্লেক্স, সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাহলগুলির ঝাঁপ বন্ধ করার সিন্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। এত কম সংখ্যক দর্শক নিয়ে কীভাবে চলবে হল? রক্ষণাবেক্ষণের খরচও তো জুটবে না! লোকসানের চিন্তায় কপালে ভাঁজ সিনেমাহল কর্তৃপক্ষদের।
প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকেই রাজ্যে পিভিআর-এর সব সিনেমাহল বন্ধ হয়েছে। উপরন্তু শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমাহলগুলো। মাস খানেক আগেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একশো শতাংশ দর্শক নিয়ে সিনেমাহলগুলো মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। তবে মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই 'পুনর্মূষিক ভবঃ'! ফের বন্ধ হতে চলেছে সিনেমাহলগুলো। সরকারি গাইডলাইন না এলেও তাই লোকসানের চিন্তাতেই হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কর্তৃপক্ষরা।
উপরন্তু যে সিনেমাহলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষিতে আয়ও তেমন হচ্ছিল না। একপ্রকার মালিকরা নিজেদের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করেই এযাবৎকাল হলগুলোর দেখভাল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কেউ কেউ তো আবার কর্মীদের ঠিকমতো মাসমাইনেও দিতে পারেননি। এমন আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্তের কাছ থেকেই। তাঁর কথায়, "সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পাইনি। কর্মীদের বেতনও দিতে পারছিলাম না ঠিক করে। উপরন্তু আবার করোনা। তাই আগামী ৬ মাসের জন্য বন্ধ থাকবে প্রিয়া।"
উল্লেখ্য, এদিকে টলিউডের বেশ কিছু ছবিও মুক্তির অপেক্ষায়। তার মধ্যে বিগ বাজেট প্রজেক্টগুলোও রয়েছে। যাঁরা গত লকডাউনের সময় এবছর মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছিলেন, তাঁরাও এখন রীতিমতো উদ্বিগ্ন। কেউ বা আবার এমন অতিমারী পরিস্থিতিতে সাহস করে নতুন কাজে হাতও দিতে পারছেন না। পাছে, মাঝপথে শুটিং বন্ধ হয়ে আবার না লোকসানের মুখ দেখতে হয়।