বিতর্কের শিরোনামে প্রায় সবসময়েই কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) নাম। তবে এবার বিপাকে পড়লেন তাঁর দেহরক্ষী কুমার হেগড়ের জন্য। হেগড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণ করেছেন। মুম্বইয়ের এক বিউটিশিয়ানই এমন অভিযোগ তোলেন কঙ্গনার দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।
ওই মহিলার দাবি, কুমার হেগড়ে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার জন্যে সম্পর্কে যাওয়ার পর তাঁরা সহবাসও করতেন। তবে কিছুদিন সম্পর্কে থাকার পর কর্ণাটকে চলে যান হেগড়ে। আর যাওয়ার সময় মহিলার কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা ধার হিসেবে নিয়েও যান। কিন্তু এরপরই কোনওরকম যোগাযোগ রাখেননি কঙ্গনার দেহরক্ষী। ইতিমধ্যে, অন্য এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই মহিলা জানতে পারেন যে, কুমার তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না। তার কিছুদিন পরই এক মহিলা নিজেকে কুমারের মা পরিচয় দিয়ে নির্যাতিতাকে ফোন করেন। এবং কুমারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে, বলেও জানান। তাই কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেও বারণ করে দেন ফোনের অপরপ্রান্তের ওই মহিলা। এরপরই ক্ষুব্ধ, অপমানিত হয়ে লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মুম্বইয়ের ওই বিউটিশিয়ান।
গত ১৯ মে কুমারের বিরুদ্ধে ডিএন নগর থানায় এফআইআর দায়ের করে মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করেছে। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কুমার হেগড়ে। উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হওয়ায় কঙ্গনার সঙ্গে কুমারের সম্পর্ক বেজায় ভালই ছিল। এমনকী অভিনেত্রী তাঁর জন্মদিনও পালন করতেন। তবে এখনও পর্যন্ত, কুমার হেগড়েকে নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি কঙ্গনাকে।